মাদারীপুর সদরে জামানত হারাচ্ছেন ২৯ চেয়ারম্যান প্রার্থী

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:১৪

মাদারীপুর সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ২৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী, সব ভোটকেন্দ্রে প্রদত্ত মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে সদর উপজেলার ১৪ ইউপিতে ৭১ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ২৯ জন প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগও পাননি। এর মধ্যে জাকের পার্টির ২ জন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত ৭ জন ও ২০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।

নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জামানাত হারানো প্রার্থীরা হলেন, পেয়ারপুর ইউপিতে জাকের পার্টির কে.এম গিয়াস উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জাবির মল্লিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী সামচুল হক, কেন্দুয়া ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেসমিন আহমেদ, মজলু সরদার, মো. মজিবর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মামুন সরদার, ছিলারচর ইউপিতে বিলকিস আক্তার, জাকের পার্টির মো. শাহ আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবুল কালাম আজাদ, খোয়াজপুর ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুজ্জামান লিটন, মেহেদী হাসান, মো. ইউনুস শিকদার ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আশরাফুল ইসলাম, রাস্তি ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেসমিন আক্তার, মনিরুজ্জামান হাওলাদার, মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, রাসেল মোল্লা ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গোলাম রহমান, শিরখাড়া ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হেলাল খান, হান্নান হাওলাদার, মস্তফাপুর ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হাবিবুর রহান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আ. হাকিম মাতুব্বর, কালিকাপুর ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল হাসান খান, পাঁচখোলা ইউপিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. শহিদুল ইসলাম, ধুরাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম, হান্নান মাতুব্বর ও কুনিয়াতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহেব আলী ও মো. মহব্বত আলী মুন্সী।

এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমার সময় প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে পাঁচ হাজার টাকা করে জামানত দিতে হয়। সেই জামানতের টাকা ফেরত পেতে হলে ওই ইউনিয়নের ভোটকেন্দ্রগুলোতে মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হয়। যেসব প্রার্থী এই পরিমাণ ভোট পাবেন না, তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার নিয়ম আছে। ওই ২৯ প্রার্থী তাদের ইউনিয়নে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

(ঢাকাটাইমস/১ডিসেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :