মালয়েশিয়ান উড়োজাহাজে বোমা পাওয়া যায়নি

প্রকাশ | ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ০২:৫২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা মালয়েশিয়ার এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে বোমা পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) প্রথম প্রহরে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল আহসান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়ান একটি নম্বর থেকে ফোন করে জানানো হয়েছিল মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে বোমা আছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই ‘বোমা’ উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু পুরো উড়োজাহাজ তল্লাশি করে বোমার কোনো অস্তিত পাওয়া যায়নি।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে মালয়েশিয়ান এমএইচ-১৯৬ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি চায়। 

এরই মধ্যে ঢাকার আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, মালয়েশিয়া থেকে ঢাকামুখী একটি ফ্লাইটে বোমা নিয়ে আসছেন কয়েকজন যাত্রী। এরপর বিমানবন্দরের টার্মিনাল, বোর্ডিং ব্রিজ, ট্যাক্সিওয়ে ও রানওয়েতে সতর্ক অবস্থান নেন র‍্যাব–পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা। ডেকে আনা হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদেরও। ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতির কারণে নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা পরে এমএইচ-১৯৬ ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করতে দেওয়া হয়। উড়োজাহাজটি বিমানবন্দরে নামার পর বোর্ডিং ব্রিজ থেকে কিছুটা দূরে দাঁড় করানো হয়। উড়োজাহাজটি ঘিরে সশস্ত্র অবস্থান নেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরপর অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে একে একে যাত্রীদের বের করে আনা হয়। করা হয় প্রত্যেকের দেহ তল্লাশি। পরে উড়োজাহাজটি নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। বিমানবাহিনীর বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা তল্লাশি চালান। কিন্তু বোমার কোনও অস্তিত পাওয়া যায়নি।

তল্লাশি অভিযান শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল আহসান বলেন, একটি মালয়েশিয়ান নম্বর থেকে ফোন কল এসেছিল, বোমা থাকার বিষয়ে। র‌্যাব বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে এ তথ্য জানিয়েছিল। তবে আমরা সঙ্গত কারণে ওই নম্বর কিংবা কলারের পরিচয় প্রকাশ করছি না।

এ খবর পাওয়ার পর আমরা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা সংস্থাকে জানাই। বোম্ব থ্রেটের একটি এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড ওপারেটিং প্রসিডিউরস) এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে এ সংক্রান্ত একটি কমিটিও রয়েছে। আমরা এ খবর পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে একটি বৈঠক করি। বৈঠকে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছেও বোম্ব থ্রেটের খবরের সত্যতা পাওয়া যায়নি। কিন্তু যেহেতু একটি থ্রেট এসেছে, সেটাকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। আমরা এসওপি অনুযায়ী সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছি।

মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের এই ফ্লাইটটিতে ১৩৫ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে এক জন মালয়েশিয়ান নাগরিক, বাকিরা বাংলাদেশি। ফ্লাইটটি মালয়েশিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা নিয়মিত ফ্লাইট ছিল।

(ঢাকাটাইমস/০২ডিসেম্বর/এসএস/ইএস)