অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে পার্বত্য শান্তিচুক্তি: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশ | ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:১৭ | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:০৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদকালে ১৯৯৭ সালে সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) মধ্যে যে শান্তিচুক্তি সই হয়েছিল তা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের ২৪ বছরপূর্তি উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এমন মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি।

দুই যুগ আগে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদকালে সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) মধ্যে এই চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে সরকারের পক্ষে সই করেছিলেন সে সময়ের জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্ এবং জনসংহতি সমিতির পক্ষে জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লার্মা ওরফে সন্তু লার্মা। এই চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে তিন পার্বত্য জেলায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান ঘটে।

শান্তিচুক্তির দুই যুগ পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, পার্বত্য জেলাগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকারের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম-বিষয়ক জাতীয় কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর ফলে পার্বত্য জেলাগুলোতে দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসান ঘটে। সূচিত হয় শান্তির পথচলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এই চুক্তি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

শান্তিচুক্তির বছরপূর্তি উপলক্ষে পার্বত্য এলাকার সব অধিবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপার আধার। যুগ যুগ ধরে পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বর্ণিল জীবনাচার, ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি এ অঞ্চলকে বিশেষভাবে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছে।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় অঞ্চল। শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় গঠিত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ। শান্তিচুক্তির ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক, অবকাঠামো ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। পার্বত্য জেলাগুলোর উন্নয়ন কার্যক্রমকে টেকসই ও বেগবান করতে আমি দলমত নির্বিশেষে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্বপালনের আহ্বান জানাচ্ছি।

পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে শান্তিচুক্তি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন আবদুল হামিদ।

ঢাকাটাইমস/২ডিসেম্বর/এমআর