সুনামগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন, ৯ জনের কারাদণ্ড

দীর্ঘ ২২ বছর পর সুনামগঞ্জের ছাতকের তেরাব মিয়া হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড, ৩১ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার  বেলা ১১টার দিকে ২৭ জন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিউদ্দিন মুরাদ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মধু মিয়ার বাড়ি জেলার ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নে বলারপীরপুর গ্রামে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের ২২ নভেম্বর সকালে ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নে বলারপীরপুর গ্রামের তেতইখালী খালে সেতু নির্মাণের বিরোধকে কেন্দ্র করে আব্দুল হাই আজাদ মছকু মিয়া ও আরজু মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

 এ সময় বন্দুকের গুলিতে আরজু মিয়ার বড়ভাই তেরাব মিয়া  মারা যান ও উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হন। বন্দুকের গুলিতে গুরুতর আহত তেরাব আলীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৪ নভেম্বর ছাতক থানায় ৪৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা চলাকালীন আটজন আসামি মারা যায় আরও ১৩ জন আসামি পলাতক রয়েছেন। ছাতক থানার তৎকালীন ওসি ২০০৪ সালের ২১ এপ্রিল আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এই মামলায় ২২ জনের স্বাক্ষীগ্রহণ করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি গোলাম মোস্তফা বলেন, খালে সেতু নির্মাণের বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বন্দুকের গুলিতে তেরা মিয়া মারা যান। আদালত রায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ৩১ জনকে খালাস দিয়েছেন। রায়ে সন্তুষ্ট বাদীপক্ষ।

আসামি পক্ষের আইনজীবী সালেহ আহমদ বলেন, রায়ে আসামি পক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

(ঢাকাটাইমস/২ডিসেম্বর/এসেএ)