বাংলাদেশ-পাকিস্তান টেস্ট সিরিজ
মুখরক্ষার ম্যাচে কাল নামছে টাইগাররা
বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে কোনো ম্যাচে জিততে পারেনি স্বাগতিক বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হয়েছে হোয়াইটওয়াশ। পরে বড় ব্যবধানে হেরেছে চট্টগ্রাম টেস্টেও। সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্টটি বাংলাদেশের জন্য মুখরক্ষার ম্যাচ। এই ম্যাচে হারলে টি-টোয়েন্টির পর টেস্টেও হোয়াইটওয়াশ হবে রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায়।
হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষেবিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠেও কোনো ম্যাচে জিততে পারেনি স্বাগতিক বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হয়েছে হোয়াইটওয়াশ। পরে বড় ব্যবধানে হেরেছে চট্টগ্রাম টেস্টেও। তাই সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্টটি বাংলাদেশের জন্য মুখরক্ষার ম্যাচ। এই ম্যাচে হারলে টি-টোয়েন্টির পর টেস্টেও হোয়াইটওয়াশ হবে রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায়। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও প্রথম টেস্টে খেলতে পারেননি সাকিব। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইনজুরিতে পড়েন তিনি। সাকিবের অনুপস্থিতিতে সবগুলো ম্যাচই হারে বাংলাদেশ। আর শেষ টেস্টে পাকিস্তান জয় পেলে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ হবে বাংলাদেশ।
সাকিব ছাড়াও এ ম্যাচে পেসার তাসকিন আহমেদের সার্ভিস পাচ্ছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টে তাসকিনের পেসকেও মিস করেছিলো দল। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ডান হাতের ইনজুরিতে পড়ায় শেষ মুর্হূতে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েন তাসকিন।
সাকিব ও তাসকিনের দলে ফেরার মাধ্যমেই বোঝা যাচ্ছে যে একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন আনছে বাংলাদেশ দল। দুই ইনিংসে ব্যর্থ ওপেনার সাইফ হাসান অসুস্থতার কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট নাইম শেখকে দলে ডেকেছে। এছাড়া দলে রয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়ও। এই দুজনের যেকোনো একজনে মিরপুর টেস্টে দেখা যাবে। সবমিলিয়ে মোট তিনটি পরিবর্তন আনতে হবে বাংলাদেশকে।
পাকিস্তানের বিপক্ষেএখন পর্যন্ত ১০টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এর কোনোটিতেই জিততে পারেনি টাইগাররা। সফলতা বলতে একটি ম্যাচ ড্র করতে পেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্বকারীরা। এর মধ্যে ১টি টেস্ট ড্র হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে দ্বিপাক্ষীক সিরিজে একটি টেস্ট ড্র হয়েছিলো।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ :
সাদমান ইসলাম, নাঈম শেখ/মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন।
পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ
আবিদ আলি, আব্দুল্লাহ শফিক, আজহার আলি, বাবর আজম(অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফাওয়াদ আলম, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলি, সাজিদ খান, নোমান আলি এবং শাহিন শাহ আফ্রিদি।
(ঢাকাটাইমস/০৩ ডিসেম্বর/এমএম)