ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে করলা-পালংয়ের জুস

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:২৮

চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে পাল্লা দিয়ে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটায় এরকম প্রধান পাঁচটি কারণের মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম।

যখন কোনও ব্যক্তির ডায়াবেটিস হয়, তখন তার দেহে পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি হয় না বা এটি সঠিকভাবে ইনসুলিন ব্যবহার করতে পারে না তাই গ্লুকোজ রক্তে জমা হয়। উচ্চ মাত্রায় রক্তে শর্করার কারণে ক্লান্তি থেকে শুরু করে হৃদরোগ পর্যন্ত অনেকগুলো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করার একটি ভাল উপায়। শরীর থেকে আস্তে আস্তে শর্করা শুষে নেয় এমন খাবার এবং পানীয়গুলো সর্বোত্তম কারণ তারা রক্তে শর্করায় হঠাৎ স্পাইক এবং ডাইপ সৃষ্টি করে না।

ডায়াবেটিস এর রোগ ক্রমশঃ সাধারণ এবং জীবন এর জন্য ক্ষতিকারক হিসাবে পরিণত হচ্ছে, কিছু সাধারণ জীবনযাত্রার পরিবর্তন করে, আপনি ডায়াবেটিসকে আপনার জীবনে আসতে বাধা দিতে পারেন এবং ডায়াবেটিস নিরাময়ের জন্য ঘরোয়া প্রতিকারই সর্বোত্তম প্রতিকার। তবে জানেন কি, পালং শাক ও করলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে ব্লাড সুগারকে। কিছু বিশেষ পদ্ধতিতে এই দুটি জিনিস খেলেই ওষুধ ছাড়াই কাবু করতে পারবেন সুগারকে। জেনে নিন ঠিক কী ভাবে এই ২টি জিনিস খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে সুগার।

করলা শরীরে ইনসুলিন ও গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে আনে। তাই নিয়মিত করলা খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে পারে না। অন্যদিকে পালং শাকও রক্তে গ্লুকোদের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এই শাক ও সবজিটির রস করে খেলে পেতে পারেন অনেক উপকার।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের ব্লাড সুগার লেভেল বর্ডারলাইনে তারাও ২০ মিলি তেতোর রস এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেতে পারে। করলা শরীরে ইনসুলিন ও গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে দেয় দ্রুত। তাই নিয়মিত করলা খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে পারে না।

অন্যদিকে পালং শাকও রক্তে গ্লুকোদের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এই শাক ও সবজিটির রস করে খেলে পেতে পারেন অনেক উপকার । এই পদ্ধতিতে মেনে দুটি জিনিস খেলেই ওষুধ ছাড়াই কাবু করতে পারবেন সুগারকে। জেনে নিন ঠিক কী ভাবে এই ২টি জিনিস খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে সুগার। কীভাবে বানাবেন করলা ও পালং শাকের জুস? জেনে নিন পদ্ধতি।

পালং শাক ও করলার রস একসঙ্গে করা হলে সেটা খেতে বেশ তেতো হবে। সুগার কমাতে ব্যবহার করা হলে কোনওমতেই তাতে দেওয়া চলবে না চিনি। তবে উপায়? তেতোভাব কমাতে পালং শাক ও করলা সেদ্ধ করে বেটে প্রথমে রসটা বের করে নিন। এরপর এতে কিছুটা লেবুর রস ও গোলমরিচ মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে তেতোভাব কিছুটা কমতে পারে। পালং শাক ও করলা একই সঙ্গে সেদ্ধ করে নিন। করলার বীজগুলো আলাদা করে নেবেন আগেই। ভালোভাবে ফুটে গেলে এতে গোলমরিচ, একটু আদা, লেবুর রস ও সামান্য রস যোগ করতে পারেন। এতে কিছুটা স্বাদ আসবে।

ডায়াবেটিস ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়িতেই ব্যবহার করুন এই জুস। তবে আপনার ডায়েটে নতুন কিছু যোগ করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন। আপনি আপনার ডাক্তার বা ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই এটি সেবন করুন।

(ঢাকাটাইমস/৪ডিসেম্বর/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :