কীটনাশক ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আত্রাইয়ের কৃষক

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ)
 | প্রকাশিত : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:১৬

উত্তরাঞ্চলের ‘শষ্য ভাণ্ডার’ খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় সচেতনতার অভাবে জমিতে নিরাপদ কীটনাশক ব্যবহার না করায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন কৃষক। কিন্তু এ ব্যপারে কৃষকদের সচেতন করার কোন উদ্যোগও নেই বলে কৃষকদের অভিযোগ।

জানা গেছে, গাছ বাড়ার জন্য ১৭টি মৌলিক পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন হয়। এসব পুষ্টি উপাদানের কিছু (হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও কার্বন) আসে পানি ও বাতাস থেকে। বাকি ১৪টি (নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, গন্ধক, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্লোরিন, লৌহ, ম্যাঙ্গনিজ, বোরন, দস্তা, তামা, মলিবডেনাম, কোবাল্ট) আসে মাটি থেকে। ১৯৫০ সালের পর থেকে মাটিতে মৌলিক পুষ্টি উপাদানের অভাব দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের মাটির ৬-৭টি মৌলিক পুষ্টি উপাদানের অভাব দেখা দিয়েছে। আগামী ২০-৩০ বছর পর আরও ৩-৪টি পুষ্টি উপাদানের অভাব দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে বেশি ফলন পাওয়ার অভাব দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

বজ্রপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ মণ্ডল জানান, কীটনাশক জমিতে দেওয়ার সময় উদ্ভট গন্ধসহ্য করতে হয়। এছাড়াও ওষুধ প্রয়োগের পর মাথা ঘোরাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়, কিন্তু কিভাবে ওষুধ প্রয়োগ করলে কোন সমস্যা হবে না, তা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে কখন কেউ পরামর্শ দেয়নি। গ্রামের সকল কৃষক এভাবেই জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কেএম কাউছার হোসেন জানান, প্রথমত আমরা কৃষককে কীটনাশক প্রয়োগ থেকে বিরত থাকারই পরামর্শ দিয়ে থাকি। আলোক ফাঁদ-এর মাধ্যমে চাষাবাদের পরামর্শ দিয়ে থাকি। ওসমানি পদ্ধতিতে (ঔষধ, সময় মাত্রা ও নিয়ম মাফিক সঠিক প্রয়োগ) বিষ প্রয়োগের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। কৃষকরা জৈব সারের চেয়ে রাসায়নিক সার বেশি ব্যবহার করে। তবে জৈব সার ব্যবহারে কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হয়, তার জন্য আমরা কাজ করছি।

(ঢাকাটাইমস/৪ডিসেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :