ডিগ্রি কলেজের প্রভাষকদের এমপিওভুক্তির আবেদনের সুযোগ কেন নয়: হাইকোর্ট

প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:১০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ডিগ্রি কলেজ (পাস) কোর্সের কর্মরত প্রভাষক ও কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদনের সুযোগ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

দেশের বিভিন্ন জেলার ডিগ্রি কলেজের ২৯১ জন প্রভাষক ও কর্মচারীর দায়ের করা পৃথক তিনটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

পাশাপাশি এমপিও ভুক্তির আবেদনের ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ পরিশিষ্ট ‘খ’ এর (পাদটিকায়) ‘স্নাতক (পাস) কলেজ এমপিওভুক্তির আবেদনের জন্য নূন্যতম দুইটি বিভাগ থাকতে হবে’ এমন শর্তারোপ করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ) ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও সংশ্লিষ্ট চারজনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট বিপুল বাগমার। 

পরে মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিগ্রি কলেজের (পাস) কোর্সে কর্মরত প্রভাষক ও কর্মচারীদের এমপিও ভুক্তির আবেদনের ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ প্রণনয় করে উক্ত নীতিমালার পরিশিষ্ট ‘খ’ এর পাদটিকা অনুসারে স্নাতক (পাস) কলেজ এমপিও ভুক্তির জন্য নূন্যতম ২টি বিভাগ চলমান থাকতে হবে। যেহেতু রিটকারিদের প্রতিষ্ঠান গুলোতে একটি বিভাগ চালু রয়েছে। তাই তারা দীর্ঘদিন কর্মরত থাকার পরেও এমপিওভুক্তির আবেদন করতে পারেন নাই।

ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া আরও বলেন, এমপিওভুক্তির আবেদন করা রিটকারিদের আইনগত অধিকার কিন্তু উপরোক্ত শর্তের কারণে তারা ওই অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যা মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। যদিও পূর্বের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৩ ও ২০১৮ এ উক্ত নিষেধাজ্ঞা ছিল না এবং জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৩ ও ২০১৮ অনুসারে ডিগ্রি কলেজের (পাস) কোর্সে কর্মরত রিটকারিদের ন্যায় প্রভাষক ও কর্মচারীরা এমপিও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে সকল সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসছেন। কিন্তু রিটকারিদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তাই আবেদনকারীরা উপরোক্ত নির্দেশনা চেয়ে রিট পিটিশনটি দায়ের করেন।

রিটকারিরা হলেন, মো. নুর আলম ছিদ্দিক, মৃনাল কান্তি রায়, মো. হারুন অর রশিদ, মো. এমরানুল হাসান, মো. ওসমান গনি, মো. জিলহক,  মো. মনিরুল ইসলাম, সুকদেব সরকার, মো. খলিলুর রহমানসহ বিভিন্ন জেলার ২৯১ জন।

(ঢাকাটাইমস/০৫ডিসেম্বর/এআইএম/ইএস)