ঢাবির এফ রহমান হল মসজিদের বেহাল দশা

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ২০:৫৪

বৃষ্টি হলেই ভাঙা ও মরিচা ধরা টিন থেকে পানি চুইয়ে পড়ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের মসজিদে। বৃষ্টির পানি ছাড়াও মসজিদটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। সরেজমিনে দেখা যায়, মসজিদের মাইক্রোফোনটি প্রায় অকেজো। শারীরিক ও মানসিক অক্ষমতার কারণে নামাজ পড়াতে পারেন না ইমাম। শিক্ষার্থীদের জোড়াতালিতে চলছে মসজিদের কার্যক্রম।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এসব সমস্যা সমাধানে জন্য বেশ কয়েকবার হল প্রাধ্যক্ষের কাছে গেলে তিনি বিভিন্ন সময় আশ্বাস দেন। তবে কোনো কাজ হয়নি। ইমামের সমস্যার বিষয়টি নিয়ে প্রাধ্যক্ষের কাছে গেলে তিনি বলেন, বিষয়টি তার এখতিয়ারের বাইরে।

জানা যায়, স্যার এ এফ রহমান হলের মসজিদের ইমাম হাফেজ আমির হোসাইন ২০১৮ সালে স্ট্রোক করেন। পরে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হলেও এখন মানসিক ভারসাম্য অনেকটা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। এছাড়া অন্যের সাহায্য ছাড়া মসজিদে আসতেও পারেন না তিনি।

শিক্ষার্থী তানভীর হাসান শান্ত বলেন, মসজিদের এমন নাজুক পরিস্থিতি মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোনো হলে নেই। এসব বিষয়ে প্রশাসনের কোনো খেয়াল নেই। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে, অল্পতেই মসজিদের মেঝেতে পানি জমে নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়। ফলে নামাজ পড়তে খুবই অসুবিধা হয়।

মসজিদের ইমামের বিষয়ে এই শিক্ষার্থী বলেন, মসজিদের ইমাম বয়োবৃদ্ধ হওয়ায় এখন শারীরিক সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন। প্রতিদিন নামাজ পড়াতে আসতে পারেন না। এলেও সঠিকভাবে নামাজ পড়াতে পারেন।

হলের আরেক শিক্ষার্থী এবং হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সাজু বলেন, আমরা মসজিদের সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রাধ্যক্ষের কাছে গিয়েছি। কিন্তু তিনি অবকাঠামো উন্নয়নে বিভিন্ন প্রশাসনিক জটিলতা কথা বলে আসছেন। আমার প্রশ্ন, সেখানে মসজিদকে দ্বিতল ভবনে রূপদান সম্ভব নয় সেখানে কথায় কথায় মসজিদের ক্ষেত্রে এত অবকাঠামোগত উন্নয়নের কথা কেন আসে? প্রতিটা হলের নিজস্ব একটা হল উন্নয়ন ফান্ড থাকে, সেখান থেকেও কি এই মসজিদের সাউন্ড সিস্টেম আর ছাউনি পরিবর্তন করা যায় না?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান ঢাকা টাইমসকে বলেন, হলের মসজিদটি ঝুলন্ত একটা মসজিদ হয়ে গেছে। টিনে মরিচা ধরেছে, বৃষ্টি হলে পানি পড়ে। মসজিদের সমস্যার কথা আমি প্রশাসনকে দুই মাস আগেই জানিয়েছি। বাজেট হচ্ছে, আশা করছি খুব শিগগির সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

ইমামের বিষয়ে তিনি বলেন, ইমাম সাহেবের নিজেরই নিয়ন্ত্রণ নেই। অনেক সময় ছাত্ররাই সেখানে নামাজ পড়ায়। একবার ইমাম দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়েছিলেন। আমি সেটা ফরওয়ার্ড করেছিলাম। পরে আবার কীভাবে তার বেতন চালু হয়ে গিয়েছে তা আমি জানি না। আমি উপাচার্যকে ইমামের বিষয়টি অনেকবার জানিয়েছি। ইমামের বিষয়টি আসলে হল প্রশাসনের হাতে নেই।

(ঢাকাটাইমস/০৬ডিসেম্বর/আরএল/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :