মুরাদের নির্বাচনী এলাকায় আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:৩১ | প্রকাশিত : ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:০৭

বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে মন্ত্রিসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে। আজ মঙ্গলবারের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

এই খবরে তার নির্বাচনী এলাকা জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সোমবার রাতে তারাকান্দি শহীদ মিনার চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা আনন্দ মিছিল বের করেন। নেতা-কর্মীরা একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে দেন। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।

সরিষাবাড়ীর কয়েকটি স্থানে অজ্ঞাত লোকজন পটকা ফুটিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন। ওই এলাকার জনগণ সোমবার রাত থেকেই মোড়ে মোড়ে দোকানপাটে লোকজন ভিড় করছেন টিভির সংবাদ দেখতে।

আনন্দ মিছিলের ব্যাপারে জানতে চাইলে এলাকাবাসী জানান, মানুষের দীর্ঘদিনের এটি একটি অভিব্যক্তি। প্রধানমন্ত্রী জনগণের মনের কথা বুঝেছেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

নানা বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে সমালোচিত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। অক্টোবরে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরোধিতা করে আলোচনায় আসেন জামালপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য। তার এই বক্তব্যের পর দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তার বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা সমালোচনা করেন অনেক নেটিজেন। কিন্তু তাতে দমে যাননি তিনি। একের পর এক বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার জন্ম দেন।

সর্বশেষ রবিবার রাতে এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে অশ্লীল কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হলে সেই সমালোচনার ঝড় আরও তীব্রতর হয়। একইসঙ্গে ফেসবুক, ইউটিউবের মতো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডা. মুরাদের পুরনো কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়, যা ছিল আপত্তিকর এবং বিরূপ।

মন্ত্রিসভার এই সদস্য একের পর এক বিকৃত অশালীন বক্তব্য, প্রতিহিংসামূলক আক্রমণাত্মক অঙ্গভঙ্গি সম্বলিত এসব ভিডিও বোদ্ধা মহলে সমালোচনা জন্ম দেয়। সব মিলিয়ে বছরের শেষটা জুড়ে ভাইরাল হয়ে আলোচনায় ছিলেন প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান।

মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের মন্ত্রিসভায় তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। এরপর ১৯ মে ২০১৯ তারিখ থেকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এর আজীবন সদস্য।

(ঢাকাটাইমস/৭ডিসেম্বর/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :