শীতের বৃষ্টিতে সুস্থ থাকতে যেসব নিয়ম মানবেন

প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:৫৩

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

শীতের শুরুতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে টানা দুই দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। শীতের বৃষ্টিতে ঠান্ডা বহুগুণে বেড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। শীতের বৃষ্টিতে শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলোর প্রকোপ বেশি হয়। সর্দিকাশি শুরু হয়। ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি, সিওপিডি  ইত্যাদি রোগগুলো বেড়ে যায়। বিশেষ করে বয়স্ক এবং শিশুদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি হয়। এছাড়া বেশি ঠান্ডায় বয়স্কদের বাতের ব্যথা বেড়ে যায়।

 

এ ছাড়া বেশি শীতে মানসিক রোগও বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে বিষণ্ণতার (ডিপ্রেশন) রোগের প্রকোপ এই সময়ে বাড়তে পারে।

 

শীতে হার্টের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। তখন হার্টে রক্তের অভাব দেখা দেয়। এতে বুকে ব্যথা হয়। যাকে আমরা এনজাইনা বলি। এ ছাড়া এ সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

 

নিম্নচাপ শেষে আকাশ পরিষ্কার হয়ে এলে আরও জমিয়ে ঠান্ডা পড়বে। এই আবহাওয়ায় গা ম্যাজ ম্যাজ ভাব। এই শীতকালীন বর্ষার দিনে কীভাবে ভালো থাকবেন?

 

এরকম দিনে যদি গোসল করতে ইচ্ছে না হয় তাহলে ছেড়ে দিন। যদি করেনও তাহলে অবশ্যই গরম পানিতে করুন। ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে মাথা না ভেজানোই ভালো।

 

শীতকালে বৃষ্টি পড়লে ঠান্ডা হাওয়া দেয়। এই সময় বাইরে বার হওয়ার আগে তাই অবশ্যই গরম জামাকাপড় পরে নিন। বাস বা অটোতে উঠে জানলার ধারে বসলেও মাথা ভালো করে ঢেকে বসুন।

 

রাস্তায় বেরিয়ে হঠাৎ করে বৃষ্টি নামলে কোনও ছাউনির নিচে দাঁড়িয়ে যান। এই আবহাওয়ায় ভুল করেও বৃষ্টিতে ভিজবেন না। রাস্তার জমা পানিতে পা ভিজে গেলেও বাড়ি পৌঁছে দ্রুত পা মুছে নিন।

 

একে শীত তার উপর বৃষ্টি! এ রকম দিনে অবশ্যই পা ঢাকা জুতা পরে রাস্তায় বের হন। কারণ বৃষ্টির পানিতে ভেজা পা থেকে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা বেশি।

 

ঘরে থাকুন বা বাইরে এমন দিনে পরিষ্কার থাকতে প্রতি মুহূর্তে ব্যবহার করুন স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ। কারণ এসময় ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে নিজেকে পরিষ্কার রাখাটা জরুরি।

 

ঠান্ডা রোধে মধু, আদা, এলাচ দিয়ে শরবত বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। ঠান্ডা যাতে না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

 

শীতে বৃষ্টির সময় স্ট্রিট ফুড এড়িয়ে চলুন। এ সময় মেজাজ খারাপ থাকে ও অবসাদ আসে। এমন সময় লোভনীয় সব খাবার খাওয়ার আগ্রহ বাড়ে। তাই বাইরের খাবার একেবারেই খাবেন না।

 

এ সময় সবচেয়ে উপকারী হলো ভেষজ চা। এ ছাড়াও লবঙ্গ, দারচিনি, তুলসি, গোলমরিচ ও আদা খান। শরীর ভালো থাকবে ও এনার্জিও বাড়বে।

 

(ঢাকাটাইমস/৭ডিসেম্বর/আরজেড/এজেড)