ইকো রিসোর্টে হামলা চালিয়ে মালিকদের নামেই চাঁদাবাজি মামলা

প্রকাশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬:০৬

গাজীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

গাজীপুর জেলা সদরের ইকো রিসোর্টে হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে আহত করার পর ওই রিসোর্ট মালিকদের বিরুদ্ধে উল্টো চাঁদাবাজির মামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বিকালে সদর উপজেলার পিঙ্গাইল এলাকায় রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ বজলুল করিম।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, ইয়েস মাল্টিপারপাসের সভাপতি কবির আহম্মদ মাহমুদী এবং তার ভাই সাব্বির আহমেদ মাহমুদীর পিঙ্গাইল এলাকার জমি ১৮ জন মালিকের কাছে জমি বিক্রি করেন। পরে জমি মালিকদের অর্থায়নে ওই জমিতে রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলেজ নামে একটি রিসোর্ট গড়ে তোলেন। পরে এ রিসোর্টটি রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি ও ফার্ম হতে কোম্পানি গঠন এবং গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে লাইসেন্স নেয়া হয়।

বজলুল করিম অভিযোগ করে বলেন, কবির আহম্মদ মাহমুদী ও সাব্বির আহমেদ মাহমুদী এসব জমির ভায়া দলিল ব্যবহার করে ক্রয়সূত্রে জমির মালিকদের নাম গোপন করে ইয়েস মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলেজ নামে প্রতিষ্ঠান করেন।

ওই রিসোর্টের বিভিন্ন কটেজ দখল করে ভাড়া দিয়ে বেশ কয়েকবছর অর্থ আত্মসাৎ করে। জমি ও কটেজগুলো দখল করাসহ জমি মালিকদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। তাই ইয়েস পাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত চিঠি দিয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার রাতে ৫০-৬০ জনের একদল বহিরাগত লোক অবৈধভাবে রিসোর্টে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও কর্মচারীদের মারধর করে।

হামলার শিকার হওয়াদের আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানায় মামলা করার পর হামলাকারীদের ব্যবহৃত একটি নোহা গাড়িসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বজলুল করিম বলেন, আমাদের রিসোর্টে হামলা চালিয়ে বিবাদী পক্ষ উল্টো আমাদের নামে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা করেছে। এতে স্থানীয় একজন ইউপি সদস্যকেও আসামি করা হয়। এ ঘটনায় তিনি কোটি কোটি টাকার সম্পদ রক্ষায় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

প্রেস ব্রিফিংএ উপস্থিত ছিলেন রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টের পরিচালক এজাজুল করিম, এমদাদুল করিম, ওয়াহিদুল ইসলাম, সফিকুর রহমান, স্থানীয় ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাব্বির আহমেদ মাহমুদী জানান, সৈয়দ বজলুল করিম গং আমাদের সঙ্গে করা চুক্তির শর্তগুলো না মেনে মামলাসহ নানাভাবে আমাদের হয়রানির চেষ্টা করছেন। এ ব্যাপারে একাধিকবার বৈঠক হলেও বৈঠকের সমঝোতা তারা মানেননি। রিসোর্টে হামলার ঘটনাও সঠিক নয়।

(ঢাকাটাইমস/৮ডিসেম্বর/কেএম)