ডা. মুরাদের বাসা-অফিসে সুনসান নীরবতা

প্রকাশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭:৪৫ | আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ২০:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিতর্কিত নানা কর্মকাণ্ডে মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান সপরিবারে থাকেন ধানমন্ডির ১৫ নম্বর সড়কের একটি বাসায়। ভবনের চার তলায় তার বাসা, আর দোতলায় অফিস। অন্য সময় ভবনটিতে নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ব্যাপক আনাগোনা থাকলেও তিন দিন ধরে সেখানে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। 

বুধবার ধানমন্ডির ১৫ নম্বর (সাবেক ২৮ নম্বর) সড়কের ৩০/এ ভবনটির সামনে গিয়ে দেখা যায় নিস্তব্ধ পরিবেশ। ভবনের নিচতলায় ঢুকেই দেখা গেল নিরাপত্তা প্রহরীর কক্ষ। বুধবার সকাল থেকে সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন নিরাপত্তাকর্মী সুমন।

ঢাকা টাইমসের সঙ্গে আলাপকালে সুমন জানান, গতকাল (মঙ্গলবার) দিনের বেলা তার ডিউটি ছিল। সে সময় পর্যন্ত ডা. মুরাদ হাসান বাসায় ফেরেননি। রাতে ফিরেছেন কি না তিনি জানেন না।

সুমন জানান, ডা. মুরাদ হাসান ওই ভবনের চারতলায় সপরিবারে থাকেন। এক হাজার ৮০০ বর্গফুটের বাসাটি তার কেনা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় মুরাদ হাসানের অফিস। সেখানে অনেকের যাতায়াত ছিল। সোমবার থেকে সে যাতায়াত বন্ধ। গতকাল ও আজ (বুধবার) কেউ তার অফিস বা বাসায় আসেননি।

মুরাদ হাসান বাসা থেকে বের হওয়ার সময় তার ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যাননি। তার ব্যবহৃত গাড়িটি ভবনের গ্যারেজেই রয়েছে বলে জানান নিরাপত্তাকর্মী।

বিতর্কিত এই সাংসদ বাসায় না থাকলেও তার পরিবারের সদস্যরা বাসায় অবস্থান করছেন বলেও জানান নিরাপত্তা প্রহরী।

সুমনের কক্ষের সামনেই চেয়ার পেতে বসে থাকতে দেখা গেল তিন পুলিশ সদস্যকে। তারা আগে থেকেই সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত।

নানা বেফাঁস মন্তব্যের কারণে কয়েক মাস ধরেই আলোচনায় ছিলেন মুরাদ হাসান। এর মধ্যেই একজন চিত্রনায়িকার সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী মুরাদের কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল ফোনালাপের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে এলে সোমবার তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মাধ্যমে মুরাদকে পদত্যাগের জন্য নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন মুরাদ হাসান। এদিন বিকালে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের পদ থেকেও মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

গত তিন দিন ধরে মুরাদ হাসান টক অব দ্য কান্ট্রি। তাকে নিয়ে সবখানে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এখনো তিনি সংসদ সদস্য পদে বহাল থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাও হারাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

(ঢাকাটাইমস/০৮ডিসেম্বর/কারই/জেবি)