আগামী সপ্তাহ থেকে আদি বুড়িগঙ্গায় যৌথ অভিযান

প্রকাশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:১২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আগামী সপ্তাহ থেকে আদি বুড়িগঙ্গা নদী দখলমুক্ত করতে যৌথ অভিযানে নামছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ঢাকা জেলা প্রশাসন।

বুধবার দুপুরে কামরাঙ্গীরচর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন লোহারপুল এলাকায় আদি বুড়িগঙ্গা নদীপথের (চ্যানেল) উপর সেতু নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন শেষে দক্ষিণ সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই কথা জানান।

শেখ তাপস বলেন, ‘আদি বুড়িগঙ্গা নদীর অংশবিশেষ দখলমুক্ত করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, আগামী সপ্তাহ থেকেই ঢাকা জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন যৌথভাবে অভিযান পরিচলনা করবে এবং আদি বুড়িগঙ্গার যে অংশ এখনো দখল অবস্থায় আছে সেগুলো দখলমুক্ত কার্যক্রম হাতে নেব।’

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে আদি বুড়িগঙ্গার পুনঃখনন কাজ শুরু করার ব্যাপারে আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কামরাঙ্গীরচরে একটি কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করবো। আর কামরাঙ্গীররচরে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করলে আমাদের যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য ভবিষ্যৎ কার্যক্রম মাথায় নিয়ে দুটি সেতু আমাদের করতে হবে। যাতে করে মূল ঢাকার সঙ্গে সেটার সংযোগ নিশ্চিত হয়। সেই লক্ষ্যে আমরা কোথায় কোথায় সেতু করবো, সেই বিষয়গুলো সরেজমিনে দেখার জন্য আজকে আমরা আমাদের বিশেষজ্ঞ, পরিকল্পনাবিদ ও আমাদের প্রধান প্রকৌশলীসহ পরিদর্শনে এসেছি।’

মেয়র বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই আদি বুড়িগঙ্গা পুনঃখনন কাজ শুরু করতে পারবো। সেই লক্ষ্যে আমরা এরই মাঝে আমাদের কার্যক্রম হতে নিয়েছি।’

মহাপরিকল্পনার আওতায় কার্যক্রমগুলো নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তাপস বলেন, ‘কামরাঙ্গীরচরে এই যে নদী খনন, সেতু নির্মাণ- তার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বেড়িবাঁধের সড়কটাকেও ছয় সারিতে রূপান্তরিত করবো। দুই সারি দুই সারি, চার সারি থাকবে এক্সপ্রেসওয়ে। আর মূল সড়কের সঙ্গে সংযোগ সৃষ্টির জন্য এক সারি এক সারি থাকবে সার্ভিস রোড।’

দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবহন বিভাগ একদম নুয়ে পড়েছিল উল্লেখ করে দক্ষিণ সিটি মেয়র বলেন, ‘নিয়মিত গাড়ি চালক ছাড়া অন্য কাউকে দিয়ে আমাদের গাড়ি পরিচালনা করবো না এবং আমাদের সম্পদ, আমাদের গাড়ি কাউকে ধরতে দেব না। এ ব্যাপারে আমরা কঠোর। যারা যারা এই নিয়ম ভঙ্গ করে এগুলো করে আসছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব এবং ভবিষ্যতে যাতে আর এ ধরনের সুযোগ না থাকে, সে জন্য আমরা পুরো সংস্কার করছি।’

এর আগে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস নগরীর ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য অন্তবর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র (এসটিএস), ধোলাইখাল জলাশয় ও মালিটোলা উদ্যান সংলগ্ন এলাকা থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহমদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আশিকুর রহমান, মো. খায়রুল বাকের, মুন্সি মো. আবুল হাসেম ও কাজী মো. বোরহান উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/০৮ডিসেম্বর/কারই/জেবি)