বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে সবাই চুপ কেন, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

প্রকাশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ২০:২৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

অশোভন বক্তব্য দেওয়ায় ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ব্যবস্থা নিয়েছে, কিন্তু বিএনপি নেতারা যে ‘অশোভন’ ও ‘কুরুচিপূর্ণ’ বক্তব্য দিয়েছেন সেটা নিয়ে সবাই চুপ কেন, এ ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন (বাসককফ) আয়োজিত শিশু-কিশোরদের রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা ‘তারুণ্যের তর্জনী’র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই প্রশ্ন তুলেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান এমপি এবং ড. আনোয়ার হোসেন খান এমপি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা ইন্টারনেটে দেখেছেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ইশরাক হোসেন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেকের অশোভন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য বিষয়ে বিএনপি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, কাউকে বিবৃতি দিতে দেখিনি। সরকারি দলের কেউ বললে অবশ্যই প্রতিবাদ হবে, হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেই ক্ষেত্রে আমাদের সরকার কিংবা দল যে কাউকে ছাড় দেয় না সেই  প্রমাণ সবাই পেয়েছে। কিন্তু বিএনপির ক্ষেত্রে সবাই কেন নিশ্চুপ ছিলেন, সেটিই আমার প্রশ্ন।’ 
বিএনপির তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের নেতারা এই অনাচারগুলো করছেন দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘এম এ মালেক ইউকে থেকে যে ভাষায় বক্তব্য রেখেছেন এরপর কি তার দলীয় পদ থাকা উচিত ছিল? সেগুলো এখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া যায়। তাকে তো দল থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। তার অর্থ যারা এই ধরনের কর্মকাণ্ড করে ও নোংরা কথাবার্তা বলে, বিএনপি তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে। তাই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে বলবো, আয়নায় নিজের দিকে তাকানোর জন্য, নিজের গায়ে দুর্গন্ধ মেখে অপরের দুর্গন্ধ খোঁজা উচিত না।’ 
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমার দায়িত্বাধীন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে ডা. মুরাদ হাসানের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্য, কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে এবং যেহেতু সেগুলো সরকার এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন, তাকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় পদ থেকেও বহিষ্কার করেছে। তার কিছু বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন এবং বিএনপি মহাসচিবসহ তাদের নেতারাও বক্তব্য রেখেছেন। সেই বক্তব্যকে আমরা স্বাগত জানাই, কারণ কেউ অন্যায় করলে অবশ্যই প্রতিবাদ হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি নেতারা যখন এ ধরনের অশোভন কথা বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেন, তাদের বিরুদ্ধে তাদের দল কখনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি, বিবৃতিও দেননি।এমনকি নারী নেত্রীরা যারা মুরাদ হাসানের ক্ষেত্রে সোচ্চার হয়েছেন, তাদেরকেও বিএনপির অশোভন বক্তব্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখিনি।’ 
(ঢাকাটাইমস/০৮ডিসেম্বর/জেবি)