অসুস্থ শিশুর পাশে চাঁদপুরের মেয়র

প্রকাশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ২২:২১

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

চাঁদপুরে অসহায় এক পরিবারের শিশুর হাটের হৃদপিণ্ড ফুটার চিকিৎসার জন্য নিজ তহবিল থেকে এক লাখ টাকা সহায়তা করেছেন পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল। মেয়র জিল্লুর রহমানের এ মানবিক সহায়তা ও উদারতায় শিশু ইয়ামিন গাজী (৬) অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করে পৃথিবীর আলো দেখার স্বপ্ন দেখছে।

বুধবার রাতে চাঁদপুর পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল তার পৌরসভার কার্যালয়ে জন্ম থেকে হৃদপিণ্ড ফুটা শিশু ইয়ামিনের পিতা আলমগীর হোসেন গাজীর হাতে এ টাকা তুলে দেন। এ সময় চাঁদপুর পৌর সভার প্যানেল মেয়র ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ আলী মাঝিসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমানে শিশু ইয়ামিন গাজী ঢাকা পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ( শিশু কার্ডিওলজি) বিভাগের চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক সোমায়রা নাসরিনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।

চিকিৎসক বলেছেন, শিশুটির চিকিৎসায় (অপারেশন) করাতে তিন লাখ টাকা ব্যয় হবে। এ কথা শুনে চাঁদপুরের পৌর মেয়র তার ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে শিশু ইয়ামিনের চিকিৎসায় ও তার বেঁচে থাকার স্বপ্ন বাস্তবায়নে জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসেন এবং ১ লাখ টাকা দিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন।

মেয়রের এ ধরনের এ মানবিকতায় তিনি প্রশংসার ভাসছেন। অনেকে বলেছেন, এ সমাজে কে বর্তমানে কার জন্য করে। তবু মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল বড় ধরনের এক উদারতা দেখালেন। একটি জীবন বাচাঁতে, একটি ফুল ফোটাতে তিনি এগিয়ে এলেন।

শিশু ইয়ামিন পৌর শহরের পুরানবাজার ২নং-ওয়ার্ডের ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী আলমগীর গাজী ও মা শাহনাজ বেগমের সন্তান। সে জন্ম লগ্ন থেকে দীর্ঘ ছয়টি বছর হৃদপিন্ড ফুটার ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কষ্টভোগ করে যাচ্ছে।

তার গরিব পিতা আলমগীর গাজী জানান, আমার ছেলে জন্মের পর থেকে হৃদপিন্ড ফুটার কারণে সে অনেক কষ্ট পাচ্ছে। আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী যা অর্থ ছিল, তা দিয়ে চিকিৎসা করিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও তাকে সুস্থ করতে পারিনি।

ঢাকা পপুলার হাসপাতাল ও হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎক আব্দুর রাজ্জাকের পরামর্শে চিকিৎসা চালিয়ে যাই। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার হৃদপিণ্ড ফুটার অপারেশন করতে কয়েক লাখ টাকা লাগবে। তাই সমাজের অনেক বিত্তবানের কাছে গিয়ে সাহায্য ও সহযোগিতা চেয়েছি। কেউ সহায়তায় এগিয়ে আসেনি।

শিশু ইয়ামিনের পিতা আলমগীর গাজী জানান, বর্তমানে ঢাকা পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ( শিশু কার্ডিওলজি) বিভাগের চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক সোমায়রা নাসরিন তার ছেলের চিকিৎসা করতে রাজি হয়েছেন। তিনি বলেছেন, ২২ ডিসেম্বর শিশু ইয়ামিনকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য। শিশুর চিকিৎসায় আড়াই লাখ টাকা ব্যয় হবে।

২২ ডিসেম্বর ভর্তি করলে সকল পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাকে ২৬ ডিসেম্বর অপারেশন করা হবে।

আলমগীর গাজী জানান, তার ছেলের চিকিৎসায় চাঁদপুরের মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল এক লাখ টাকা দিয়েছেন। বাকি আরো দেড় লাখ টাকা প্রয়োজন। কেউ যদি তার শিশু ইয়ামিনের চিকিৎসায় এগিয়ে আসেন, তাহলে তিনি চিরকৃতজ্ঞ থাকবেন। তাই সমাজের বৃত্তবানদের সহায়তা কামনা করছেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/৮ডিসেম্বর/এলএ)