‘সৌদির উচিত তাবলিগ সম্পর্কে উপমহাদেশীয় আলেমদের সঙ্গে কথা বলা’

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:১২
আল্লামা মাহমূদুল হাসান (ফাইল ছবি)

সৌদি আরবে তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ অথরিটি আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমূদুল হাসান। তাবলিগের কাজ সম্পর্কে উপমহাদেশীয় আলেমদের সঙ্গে কথা বলে মন্তব্য করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দেশের শীর্ষ এই আলেম বলেন, ইসলামি ভাবনার তাবলিগ তথা ঈমান আমলের দাওয়াতের কাজের নিন্দা করার আগে এর ভালোমন্দ সব দিক বিবেচনা করা চাই। বর্তমান পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ ঈমান ইসলাম ও ইহসানের দিকে ধাবিত হচ্ছে তাবলিগের মেহনতের ফলে।

আল্লামা মাহমূদুল হাসান বলেন, সৌদি আরবের আলেমদের উচিত তাবলিগি কাজ সম্পর্কে উপমহাদেশীয় আলেমদের সাথে কথা বলে মন্তব্য করা। আওলাদে রাসুল (সা.) হজরত মাওলানা মুহাম্মাদ রাবে হাসানী নদভী, মাওলানা সাইয়েদ আরশাদ মাদানী, মাওলানা মুফতি তাকি উসমানীসহ বিশ্বের সেরা আলেমদের সাথে পরামর্শ করতে হবে। এই মুহূর্তে আরব বিশ্বে আল্লামা সাইয়িদ আবুল হাসান আলী নদভী ও মাওলানা সাঈদ খান সাহেব প্রভাবিত আলেমদের পরিস্থিতি অনুপাতে সোচ্চার হতে হবে। দেওবন্দ ও এর অনুসারী প্রতিষ্ঠানের মুরব্বিদের আরবের শাসক ও আলেমদের সাথে মতবিনিময় করতে হবে।

শীর্ষ এই আলেম বলেন, সৌদি সরকারের ফরমান, অভিযোগ ও খুতবা প্রচারের বিষয়ে আমাদের মূল্যায়ন সৌদি বড় আলেমদের কাছে পৌঁছেছে। ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে শাসক পর্যায়েও পৌঁছে যাবে ইনশাআল্লাহ। প্রচলিত তাবলিগের কাজে তারা সমালোচনা বা সংশোধনী দিতে পারেন, কিন্তু শতবর্ষী একটি দীনি আন্দোলনকে এভাবে একতরফা নিন্দা ও নিরুৎসাহিত করতে পারেন না। অতীতের হুসামুল হারামাইন ফতওয়ার দুঃখজনক ঘটনার মতো কোনো মহলের মিথ্যা প্রচারণা বা একতরফা অপবাদ শুনে তাবলিগি কাজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারেন না। এর ফলে সারাবিশ্বে এই কাজে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রবণতা দেখা দিতে পারে। মুসলমানদের শত্রুরাই এতে খুশি ও লাভবান হবে‌।

গুলশান আজাদ মসজিদের এই খতিব বলেন, সৌদি প্রজ্ঞাপনটির বক্তব্যে বাংলাদেশ পাক ভারত উপমহাদেশের আহলে হক উলামায়ে কেরাম ও সর্বস্তরের তাওহীদি জনতা খুবই মর্মাহত হয়েছেন। তারা ভেবে পাচ্ছেন না যে, একথা সৌদি আলেমরা কোথায় পেলেন যে, তাবলিগিরা কবরকে সেজদার স্থান বানায়? দুনিয়ার কোথাও এমন নজির নেই, হতে পারে না। ইনসাফের স্বার্থেই তাদেরকে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানাই। হারামাইন শরিফাইনের দীনি খেদমতের জিম্মাদারির মহান মর্যাদা তাদের আল্লাহ তায়ালা দান করেছেন বলেই দুনিয়ার মুসলমানদের কল্যাণকর দিকগুলো তাদের সুবিবেচনার দাবি রাখে।

(ঢাকাটাইমস/১৫ডিসেম্বর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ইসলাম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :