সিউলে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

মোহাম্মদ হানিফ, দক্ষিণ কোরিয়া
 | প্রকাশিত : ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, ২১:৫২

সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ‘মহান বিজয় দিবস-২০২১’ উদযাপন করা হয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চ্যান্সারি ভবনটিকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। রাষ্ট্রদূত দেলওয়ার হোসেন কর্তৃক দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত সহযোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়।

দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসে জাতির পিতার ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্বে বিকালে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয়। তারপর মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের বিদেহী আত্মার শান্তি এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একটি মুক্ত আলোচনা পর্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

আলোচকরা স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতার দূরদর্শী নেতৃত্ব, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত আত্মত্যাগ এবং আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিতা বীরাঙ্গনাদের অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রা এবং বাংলাদেশের অর্জনসমূহ উপস্থাপন করে তিনি জাতির পিতার সুখী, সমৃদ্ধ, শোষণ ও বৈষম্যহীন ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

আলোচনার পর রাষ্ট্রদূত উপস্থিত অতিথিবৃন্দের সাথে কেক কাটেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে ঢাকা থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পরিচালিত শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

আলোচনা পর্ব শেষে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক গান, নৃত্য ও কবিতা আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। সাংস্কৃতিক পর্বের পর বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৭ডিসেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

প্রবাসের খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :