শীতকালে কলা খেলে কি ঠান্ডা লাগে?

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:৫৫ | প্রকাশিত : ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:৪২

কলায় ক্যালোরি যেমন বেশি ঠিক তেমনই এতে থাকে বিভিন্ন পুষ্টিগুণও বেশি। যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। সবরি, মর্তমান, সাগর, চাঁপা - সব পাকা কলাই কমবেশি সমান পুষ্টিকর। শরীরে শক্তি জোগাতে কলা অত্যন্ত উপাদেয় একটি ফল। পাকা কলাতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ যেমন- পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ফোলেট, নিয়াসিন, রিবোফ্লাভিন ও ভিটামিন-বি রয়েছে। এগুলো শরীরকে কর্মক্ষম ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

তবে কলা নিয়ে বিতর্কেরও শেষ নেই। অনেকেরই ধারণা, শীতকালে কলা খেলে ঠান্ডা লাগে। তাই অনেক সময় অভিভাবকরা শিশুকে কলা খেতে দেন না বা নিজেরাও কলা খাওয়া এড়িয়ে যান।

কলা খেলে ঠান্ডা লাগে—এ ধারণা একেবারেই সঠিক নয়। তবে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, যেমন- অ্যাজমা, নাকে পানি ঝরা, হাঁচি এসব সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কলা খেলে সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে কলা খাওয়ার পর ব্যক্তি যদি মনে করে, তার সমস্যা হচ্ছে, তবে এড়িয়ে গেলে ভালো হয়।

সাধারণত ঠান্ডা লাগলে কলা বা টক জাতীয় ফল খেতে নিষেধ করা হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিমিত পরিমাণে যে কোনো কিছু খাওয়াতে ক্ষতির কিছু নেই। আর কলাতে ভিটামিন সি রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রাড়ায়।

পুষ্টিসমৃদ্ধ এ খাবারটি অসুস্থতার কারণে শরীর থেকে কমে যাওয়া মিনারেল ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে, যা সর্দি কাশি ও জ্বর প্রশমিত করতে পারে বলেও মনে করছেন তারা।

কলা খুবই স্বাস্থ্যকর ও শক্তিবর্ধক খাবার, তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা থেকে এটা বাদ দেওয়া ঠিক নয়। তবে কারো যদি ঠান্ডা, কাশির প্রবণতা বা অ্যাজমা থাকে, তাহলে সন্ধ্যার পর কলা না খাওয়াই ভালো।

পুষ্টিবিদদের মতে, কলা খেলে ঠান্ডা লাগে—এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কলায় পটাসিয়াম, মিনারেল, ভিটামিন সি’তে পরিপূর্ণ। ভিটামিন, মিনারেলের পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও পাওয়া যায় কলায়। কলা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তবে যারা ঠান্ডার সমস্যায় ভুগছেন বা যাদের এরই মধ্যে ঠান্ডা লেগে আছে, তাদের কলা খেলে শ্লেষ্মা বা মিউকাস বেশি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ঠান্ডার রোগীকে এটি খেতে মানা করা হয়। তবে ঠান্ডা সেরে গেলে আবার যথাযথভাবে ব্যক্তিটি কলা খেতে পারবে।

কলায় পটসিয়ামের মাত্রা বেশি থাকায় যারা রেনাল ফেলিওরে ভুগছেন কিংবা পটাসিয়ামে অসুবিধা আছে তাদের কলা না খাওয়াই ভাল। এছাড়া কলায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার। যা হজমে সহায়তা করে আবার পেটও ভরে রাখে। এর ফলে অন্য খাবার খাওয়ার আগ্রহ কমে যায়। যার কারণে ওজন বাড়ার আশঙ্কা কম।

ডায়াবেটিস রোগীরা কম করে কলা খেলে কোনো সমস্যা হয় না। কারণ এতে থাকা ফাইবার শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

অনেকে সরাসরি কলা খেতে পছন্দ করেন না। তারা কলার স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন। আবার সকালের নাস্তায় কলা ও ওটসের স্মুদিও খেলে সারাদিন তরতাজা থাকবেন।

(ঢাকাটাইমস/১৮ডিসেম্বর/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

ফিচার এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :