‘নৌকার জয় না হলে ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হবে’

প্রকাশ | ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ২১:৪০

নরসিংদী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নরসিংদী পলাশ উপজেলার আসন্ন জিনারদী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারা হবে। কোনো কারণে নৌকার পরাজয় হলে বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে ফেলা হবে। মা-বোনদেরকে পাশবিক নির্যাতনসহ ধর্ষণ করে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। ভয় দেখাচ্ছে মামলা মোকদ্দমার।

বৃহস্পতিবার জিনারদী ইউনিয়নের নৌকার প্রতীকের প্রার্থী ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জুটন চন্দ্র দত্ত।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার  দুই ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে চরসিন্দুর ইউনিয়নে ইভিএম ও জিনারদীতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

জুটন চন্দ্র দত্ত বলেন, আসন্ন জিনারদী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামরুল ইসলাম গাজী ও তার কর্মী-সমর্থকরা বিভিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণায় বাধা দেয়াসহ আমার কর্মীদের উপর হামলা ও নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়।

স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন, এ বিষয়ে পলাশ থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। গত চার দিন যাবৎ নৌকা প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কামরুল ইসলাম গাজীর ঘনিষ্ঠজন সাইফুল ইসলাম সজল, কাশেম দেওয়ান, তারেক আকন্দ, দিপু গাজীসহ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমার প্রস্তাবকারী তরিকুল ইসলাম তারা ও সমর্থনকারী জয়দেব রায়ের বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে। তারা যেন আমার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে।

নির্বাচন করলে তাদের ঘর-বাড়ি পুড়ে ফেলা হবে। মা- বোনদেরকে পাশবিক নির্যাতনসহ ধর্ষণ করে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। ফলে সাধারণ ভোটার ও কর্মী সমর্থকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। প্রতি রাতেই সংখ্যালঘু এলাকায় দুটি প্রাইভেটকার, কালো গ্লাসের দুই-তিনটি হাইয়েস মাইক্রোবাসসহ ৪০/৫০টি মোটরসাইকেল প্রচারণার নামে প্রতিদিনই ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় মহড়া দিচ্ছে।

ফলে এলাকায় চরম আতঙ্কিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে জিনারদী ইউনিয়নের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলোর সাধারণ ভোটারদের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

তবে সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামরুল ইসলাম গাজী বলেন, ‘নৌকার জোয়ার দেখে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিচলিত হয়ে পড়েছেন। তাই আমার ও আমার কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন।’

(ঢাকাটাইমস/২৪ডিসেম্বর/কেএম)