মধ্যবিত্তের নাগালে লামিয়ার ‘নন্দিতা কুটির’ ও ‘ক্রাফট বাংলাদেশ’

কাজী রফিক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ২০:২১ | প্রকাশিত : ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ২০:০৬

কলেজ পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরই স্বাবলম্বী হওয়ার বাসনা জেঁকে বসে ইসরাত লামিয়াকে। উদ্যোগ নেন নিজে কিছু করার। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি ‘হোম ডেকর’ পণ্য নিয়ে কাজ শুরু করেন। দুই বছরের মাথায় সফল উদ্যোক্তা তিনি। প্রতিষ্ঠা করেছেন হোম ডেকর পণ্য উৎপাদনের কারখানা। লামিয়া বলছেন, নন্দিতা কুটিরের বেশির ভাগ ক্রেতা মধ্যবিত্ত। তাদের সাধ্যের মধ্যে হোম ডেকর পণ্য দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছে তার প্রতিষ্ঠান।

২০১৯ সালে ‘নন্দিতা কুটির’ নামে একটি ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করেন লামিয়া। অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ সাড়া পান। এখন সেই প্রতিষ্ঠানকে তিনি নিয়ে যেতে চান বহুদূর। পরে ‘ক্রাফট বাংলাদেশ’ নামে আরও একটি পেইজ খুলেছেন তিনি। এখন একাধারে কাজ করছেন দুটি পেইজের মাধ্যমে।

ইসরাত লামিয়া জানান, শুরুতে কাঠের পাশাপাশি মাটি ও পাটের জিনিসপত্র নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু তিন মাসের মাথায় মাটি ও পাটের পণ্য থেকে সরে আসেন। পুরোপুরি মনোযোগ দেন কাঠের পণ্যের দিকে।

লামিয়া বর্তমানে রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা।

ব্যবসার শুরুর গল্পটা জানতে চাইলে লামিয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমি তিন ধরনের পণ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু একটা সময় অনুভব করলাম, সবকিছু নিয়ে কাজ না করে নির্দিষ্ট একটা খাতে থাকি। তখন শুধু কাঠের পণ্যকে বেছে নিলাম।’

দেশের বাজারে কাঠের ‘হোম ডেকর’ পণ্যের চাহিদা বাড়ছে বলে মনে করেন এই তরুণ উদ্যোক্তা। তার ভাষ্যমতে, ‘হোম ডেকরের একটা বড় জায়গাজুড়ে রয়েছে কাঠের পণ্য। ইউরোপ ও আমেরিকায় অনেক আগে থেকেই এ ধারা বজায় আছে। কয়েক বছর আগেও আমাদের দেশে নির্দিষ্ট কিছু আসবাবপত্র বাদে কাঠের ব্যবহার তেমন চোখে পড়ত না। তবে সম্প্রতি উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও কাঠের হোম ডেকরের চাহিদা বেড়েছে।’

শুরুতে অন্য কারখানা থেকে নিজের ডিজাইনে পণ্য তৈরি করিয়ে নিতেন লামিয়া। সম্প্রতি নিজেই একটি কারখানা দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উদ্যোক্তা হতে অনেক বাধা রয়েছে। বাজেটটা অনেক বড় একটা সমস্যা। সবকিছু অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছি। কারখানা দিয়েছি। এখন আমার নিজস্ব ডিজাইনার আছে, মিস্ত্রি আছে। রুচিশীল ক্রেতার চাহিদা মেটাতে নন্দিতা কুটির এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’

মধ্যবিত্তের উপযোগী পণ্য বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে লামিয়া বলেন, ‘মধ্যবিত্ত পরিবারের শখ থাকে। কিন্তু সাধ্যটা সীমাবদ্ধ। কেননা আয়ের পরিমাণটা হিসাব করা। সেখান থেকে কোথায় কত টাকা খরচ হবে, সেটাও হিসাব করাই থাকে। ফলে চাইলেও অনেক কিছু কেনা যায় না। তবে গৃহিণীরা কিছু টাকা জমিয়ে তা দিয়ে ঘরে সাজাতে চান। অতিরিক্ত দামের কারণে অনেক গৃহিণীকে হতাশ হতে হয়। আমার চাওয়াটা হচ্ছে, কেউ যেন হতাশ না হন। আমি চেষ্টা করি, সামান্য লাভে পণ্যগুলো বিক্রি করতে। এতে আমার বিক্রি যেমন নিয়মিত, তেমনি নতুন নতুন ক্রেতাও পাচ্ছি।’

(ঢাকাটাইমস/২৫ডিসেম্বর/কারই/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

ফিচার এর সর্বশেষ

যে পাঁচ সমস্যায় আক্রান্তরা গুড় খাওয়ার আগে একবার ভাবুন, নইলে...

সাজেদুর রহমান শাফায়েতের স্বপ্ন পৃথিবী ঘুরে দেখা

খাওয়ার পরপরই চা পান উপকার না ক্ষতি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

জ্বরের মধ্যে যে পাঁচ খাবার খেলেই বিপদ! জানুন, সাবধান হোন

গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে ডায়াবেটিস রোগীদের! সুস্থ থাকবেন যেভাবে

মুখে দুর্গন্ধের কারণে হা করতেও অস্বস্তি লাগে? সমাধান কী জানুন

লিভার ভালো রাখে লাউ! ওজন এবং উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

কিডনি ভালো রাখে আমের পাতা! উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

ইফতার ও সাহরিতে বাহারি আয়োজন ধানমন্ডির দ্য ফরেস্ট লাউঞ্জে

বারবার ফোটানো চা খেলেই মারাত্মক বিপদ! বাঁচতে হলে জানুন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :