এস এ খালেকের করোনা নেগেটিভ, বাসায় ফিরবেন শিগগির

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২২, ১২:১৪ | প্রকাশিত : ০২ জানুয়ারি ২০২২, ১২:০৭

নানা রোগে আক্রান্ত বিএনপির প্রবীণ নেতা এস এ খালেক দ্বিতীয়বারের মতো করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ফলে শারীরিকভাবে আরও বেশি কাবু করে ফেলে মিরপুর থেকে পাঁচবার নির্বাচিত এই সংসদ সদস্যকে। মাঝে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা চলাকালে তার হার্ট অ্যাটাক হলে দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যদের। তবে স্বস্তির খবর শনিবার তার করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। শারীরিক অবস্থা পুরোপুরি স্থিতিশীল না হলেও তাকে ইতিমধ্যে হাসপাতালটির কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

চিকিৎসকরা আশা করছেন শারীরিক অবস্থা এমন থাকলে দুই একদিনের মধ্যে বাসায় ফিরতে পারবেন প্রবীণ এই রাজনীতিক।

এস এ খালেক ছিলেন অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের ডেপুটি মেয়র। বৃহত্তর মিরপুর থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া এস এ খালেক কয়েক বছর ধরে বয়সজনিত নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

পরিবারিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিসজনিত সমস্যা নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে এই রাজনীতিককে। তার হার্টে এখন সর্বমোট ১৩টি রিং পরানো হয়েছে। একবছর ধরে তাকে নল দিয়ে তরল খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। মাঝে বাসায় নেওয়া হলেও কিছুদিন আগে আবারও ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

একসময়ের প্রভাবশালী এই রাজনীতিকের অসুস্থতার পর থেকে তার চিকিৎসার তদারকি করছেন খালেকের ছেলে এস এ সিদ্দিক সাজু। কখনো হাসপাতালে শয্যাপাশে থাকছেন, কখনো আবার ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পালন করতে ছুটছেন। হাসপাতালে তিনি ছাড়াও আসা-যাওয়ার মধ্যে আছেন তার মা ও স্ত্রী।

একদিকে বাবার চিকিৎসা অন্যদিকে দলের সব কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের নিয়ে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করছেন তরুণ রাজনীতিক সাজু।

প্রবীণ রাজনীতিক এস এ খালেক রাজনীতির পাশাপাশি একজন বড়মাপের ব্যবসায়ীও। আবাসন খাত, পরিবহন সেক্টরসহ নানাখাতে তার বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে। সমাজসেবামূলক কাজেও এস এ খালেকের পরিবারের নানা পদক্ষেপ রয়েছে। যার পুরাটাই এখন এস এ সিদ্দিক সাজুকে দেখভাল করতে হয়।

বিএনপির রাজনীতিতে এস এ খালেকের পথচলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। দলে যোগ দেওয়ার পর ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন ঢাকা-১৪ আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ৮৬ ও ৮৮ সালে পরপর দুবার সংসদ নির্বাচিত হন এস এ খালেক। পরে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে নির্বাচনে বিএনপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির এই প্রবীণ সদস্য। দেশের জাঁদরেল আইনজীবী ও রাজনীতিক ড. কামাল হোসেনও এস এ খালেকের জনপ্রিয়তার কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন।

বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, এসএ খালেক তার নির্বাচনী এলাকায় অন্যতম জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। সংসদ সদস্য থাকাকালে তিনি বৃহত্তর মিরপুরে যথেষ্ঠ উন্নয়ন করেছেন। মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ইনডোর স্টেডিয়াম, গাবতলী বাসস্ট্যান্ড, বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।

তবে ৯০ বছর ছুঁইছুঁই করা এই নেতা তার জায়গায় রাজনীতি করার জন্য নিজের উত্তরসূরি হিসেবে ছেলে এসএ সিদ্দিক সাজুকে আগেভাগেই সামনে নিয়ে আসেন। ছেলেও জনবান্ধন বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হন৷ একাদশ সংসদ নির্বাচনে দল থেকে ধানের শীষের মনোনয়নও পান সাজু।

জানা গেছে, ১৯৯১ সাল থেকে সাজু তার বাবার প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কের কাজ করছেন। ২০০৮ সালের পর থেকে বাবার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের হাল ধরেছেন সাজু। দলীয় কর্মকাণ্ড চালাতে গিয়ে এরই মধ্যে ৩৫টিও বেশি মামলার আসামি হয়েছেন তিনি। এর পরও এলাকা ছেড়ে যাননি। বরং বিপদে-আপদে নেতাকর্মীদের পাশে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। মামলা পরিচালনায় সহায়তার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের আর্থিকভাবেও সহায়তা করে আস্থা অর্জন করেছেন সাজু।

এদিকে সাবেক এই সাংসদের সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় মিরপুরে পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে মসজিদে মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হচ্ছে। অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও এস এ খালেকের সুস্থতার জন্য দোয়ার আয়োজন করছে।

ঢাকাটাইমস/০২জানুয়ারি/বিইউ/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

বিএনপির ভারত বিরোধীতা মানুষের কষ্ট বাড়ানোর নতুন সংস্করণ: নাছিম

ভোট ডাকাত সরকারকে সমর্থনকারী দেশের পণ্য বর্জন ন্যায়সঙ্গত: রিজভী

১১ মামলায় আগাম জামিন পেলেন বিএনপি নেতা বকুল

বর্তমান সরকার ভারতের অনুগ্রহে ক্ষমতায় বসে আছে: সাকি

জিয়াউর রহমান উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করে: ওবায়দুল কাদের

রুহুল আমিন হাওলাদারের বড় ভাই সুলতান আহমেদ মারা গেছেন

গণতন্ত্রের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হবো: মির্জা ফখরুল

বাসায় মেডিকেল বোর্ডের পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া

বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস: প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান

স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ নেই: মির্জা আব্বাস

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :