ভোটে দাঁড়িয়ে উপদেষ্টার পদ হারালেন তৈমূর!

প্রকাশ | ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:২৫ | আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:৪৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে অংশ না নিলেও মেয়র পদে লড়ছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তার নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে শুরুতে নিশ্চুপ থাকলেও এবার অ্যাকশনে গেল বিএনপি। রবিবার তৈমূর আলমকে উপদেষ্টা পদ থেকে অব্যাহতির চিঠি দিয়েছে দলটি।

যদিও বিষয়টি নিয়ে অনেকটা লুকোচুরি করছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় দপ্তরসহ সংশ্লিষ্টরাও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলছেন না। দিচ্ছেন দায়সারা জবাব।

হাতি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করছেন তৈমূর আলম। শুরু থেকে তার প্রার্থী হওয়া নিয়ে নীরব ছিল বিএনপির হাইকমান্ড। তৈমূর আলমকে ‘জনতার প্রার্থী’ বলে নেতাকর্মীদের অনানুষ্ঠানিকভাবে তার জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানা গেছে।

এদিকে প্রতীক পাওয়ার পর থেকে পুরোদমে প্রচার চালাচ্ছেন তৈমূর আলম খন্দকার। এর মধ্যেই এমন সিদ্ধান্তের কথা জানা গেল।

দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, নির্দেশিত হয়ে জানাচ্ছি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য পদ থেকে আপনাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

তবে দলীয় পদ থেকে তৈমূরকে কেন সরিয়ে দেওয়া হলো, এ নিয়ে কোনো তথ্য জানায়নি বিএনপি।

বিষয়টি নিয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে যোগাযোগ চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘রিজভী ভাই বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন। আমিও এমনটা শুনেছি।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৬ জানুয়ারি। এই নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন তৈমূর আলম খন্দকার।

এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো চিঠি না পেলেও বিভিন্ন মাধ্যমে উপদেষ্টা পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি জেনেছেন বলে জানিয়েছেন তৈমূর আলম খন্দকার।

ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, ‘আমাকে কেউ ফোন জানায়নি। চিঠিও পাইনি। তবে লোকজনের মুখে শুনেছি আমাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যদি এটা হয়ে থাকে তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। কারণ এখন আমি ফ্রি হয়ে গেলাম। খেটে খাওয়া, শ্রমিকের নেতা আমি, এখন তাদের নিয়ে থাকবো। আমাকে যদি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে বিএনপির নেতা তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানাই।’

বিএনপি থেকে বিভিন্ন সময়ে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না দলটি। এ কারণে এবারের স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেয়নি বিএনপি। তবে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে স্বতন্ত্রভাবে লড়তে দেখা গেছে। অনেকে বিজয়ীও হয়েছেন।

এর আগে ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয়ভাবে তৈমূর আলম খন্দকারকে সমর্থন দিয়েছিল বিএনপি। তবে ভোটের আগমুহূর্তে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমানকে ঠেকাতে তৈমূর আলমকে বসিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সমর্থন দিয়েছিল বিএনপি। 

(ঢাকাটাইমস/০৩জানুয়ারি/বিইউ/জেবি)