রামগড়ে স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যা

খাগড়াছড়ির রামগড়ে স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। উপজেলার ২ নম্বর পাতাছড়া ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মোহাম্মদ সোলেমান (২৯) পলাতক রয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় লাশ দুটি উদ্ধার করেছে রামগড় থানা পুলিশ।

নিহতরা হলেন পিংকি আক্তার (২৫) ও তার চার মাসের শিশু কন্যা। এই দম্পতির দুজন কন্যা সন্তান রয়েছে। অভিযুক্ত সোলেমান পেশায় রাজমিস্ত্রী। তিনি পাতাছড়া ইউনিয়নের মধুপুর এলাকার মোহাম্মদ জাহের মিয়ার ছেলে। নিহত পিংকি আক্তার একই এলাকার আব্দুল খালেক দুলালের মেয়ে।

নিহত পিংকির ভাই ইমরান হোসেন সুজন জানান, তার ভগ্নিপতি সোলেমান পরকীয়া প্রেমে জড়িত। এ নিয়ে তার বোনের সঙ্গে প্রায় সময় ঝগড়া হতো। গত বৃহস্পতিবার সোলেমান তার বড় মেয়ে সুলতানাকে (৪) এক আত্মীয়ের বাড়ি নোয়াখালীতে রেখে আসে এবং গত শুক্রবার কোনো এক সময়ে পিংকি ও তার শিশু কন্যাকে হত্যা করে ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়।

কয়েকদিন বোনের খবর না পেয়ে সোমবার বোনের স্বামীর বাড়িতে আসেন ইমরান। তখন ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়দের খবর দেন। পরে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকলে বোন এবং ভাগ্নির গলাকাটা লাশ কম্বলে পেঁচানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

নিহতের ফুপু বিবি কুলছুম জানান, ঘাতক সোলেমান নোয়াখালীতে তার এক মামাতো বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়। অভাবের সংসারে পরকীয়া নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই মতবিরোধ লেগে থাকতো।

রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুজ্জামন জানান, পারিবারিক সমস্যার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে রামগড় থানায় একটি মামলা করেছেন। তবে আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান ওসি।

(ঢাকাটাইমস/৩জানুয়ারি/কেএম)