৫ জানুয়ারি নির্বাচনের বার্ষিকীতে মানববন্ধন করবে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:৪০
ফাইল ছবি

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনের দিনকে ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে এবারও আগামীকাল বুধবার (৫ জানুয়ারি) সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

দেশের সব জেলা সদরে পালিত হবে মানববন্ধনের এই কর্মসূচি। অন্যদিকে ঢাকায় মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বুধবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এসময় রিজভী বলেন, ‘৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এক অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন। আট বছর আগে ২০১৪ সালের এই দিনে সারাদেশে ভোটার ও বিরোধী দলের প্রার্থীবিহীন একতরফা বিতর্কিত, প্রতারণামূলক, হাস্যকর ও শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ প্রহসনমূলক একদলীয় পাতানো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে খুন, গুম, নির্যাতন চালিয়েও ভোটারদের কাছ থেকে ন্যূনতম ভোট আদায় করতে পারেনি আওয়ামী লীগ। সারাদেশে নির্বাচন কেন্দ্রগুলো ছিল একদম ফাঁকা। অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে ছিল ভোটারশূন্য।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে নিজেদের কলঙ্কিত করার রেকর্ডকে ভেঙে ফেলে।’

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ কখনোই পাত্তা দেয় না- এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘জনগণের ক্ষমতার প্রতি অবিশ্বাসী-অবিশ্বস্ত আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করতে পরিকল্পিতভাবে ২০১১ সালে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দিয়েছিল। এরপর যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে তারা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এই সরকারের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তা ছিল কিম্বুতকিমাকার ও উদ্ভট। ৫ জানুয়ারির ভোটের ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের আগের রাতে একই কায়দায় মানুষের অধিকার হরণ করা হয়।’

রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশের ওপর অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘মানুষ সত্য উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গেই তাদের ওপর নেমে আসে নানা কালাকানুন। কথা বললেই নেমে আসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার খড়গ। এখন পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যত মামলা করা হয়েছে সব মামলা সরকারের সমালোচনার জন্য।’

বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পাঁচ লাখের বেশি মামলা দেওয়া হয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রেখে হত্যার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আজও তিনি গুরুতর অসুস্থ। বর্তমান সময় সংকটময় ও সমস্যাদীর্ণ গণতন্ত্রের সময়। কিন্তু মানুষ আর বসে থাকছে না। ১৪৪ ধারা ভেঙে বেরিয়ে আসছে মানুষ। বিএনপি যেখানেই সমাবেশ দিচ্ছে সেখানেই মানুষের ঢল নামছে। দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠছে মানুষ। আওয়ামী লীগ কখনোই নিজেদের স্বার্থসর্বস্বতার ঊর্ধ্বে উঠতে পারে না।’

ভোটারবিহীন সরকারের দিন শেষ- এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘ভোট ডাকাতির দিন শেষ। দেশের জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজপথে নেমে গেছে। বিশ্ববিবেক জেগে উঠছে। যেভাবে অবরুদ্ধের খবর আসছে তাতে অনেক মন্ত্রী, এমপি ও আমলাদের মতো পালানোর রাস্তাও তাদের খোলা নেই। গণতন্ত্রের জয় অবশ্যম্ভাবী।’

(ঢাকাটাইমস/০৪জানুয়ারি/বিইউ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

উপজেলা ভোটের মাঠে বিএনপির তৃণমূল নেতারা

উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ: বিএনপির ৬৪ নেতাকে শোকজ

ভোটের মাঠ থেকে স্বজনদের সরাতে পারেননি আ.লীগের মন্ত্রী-এমপিরা

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে: বিএনপির আরও ৫ নেতা বহিষ্কার

সরকারকে পরাজয় বরণ করতেই হবে: মির্জা ফখরুল

এমপি-মন্ত্রীর স্বজন কারা, সংজ্ঞা নিয়ে ধোঁয়াশায় আ.লীগ

মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের

স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির আরও এক নেতা বহিষ্কার 

দেশ গরমে পুড়ছে, সরকার মিথ্যা উন্নয়নের বাঁশি বাজাচ্ছে: এবি পার্টি

বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদ সালাম-মজনুর

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :