নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন ও একজন 'তৈমূর আলম খন্দকার'

প্রকাশ | ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৪:০২ | আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:১১

শাহাদাত হোসেন সেলিম

২০১১ সালের নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ছিলেন বিএনপির মনোনীত 'মেয়র' প্রার্থী। অপর দুজন হেভিওয়েট প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগের শামীম ওসমান এবং ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী স্বতন্ত্র । আমার ধারণা সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসীর হাত থেকে নারায়ণগঞ্জবাসীকে বাঁচাতে বিএনপি নির্বাচনের শেষ মূহুর্তে তার দলীয় প্রার্থীকে প্রত্যাহার করে নেয় এবং তৈমূর আলম খন্দকার দলের সে সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেন। আইভী নির্বাচনে বিজয়ী হন। তবে পরবর্তীতে অন্য সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির বিপুল বিজয় এ সাক্ষ্য দেয় তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচনে থাকলে তিনি নিশ্চিত বিজয়ী হতেন।

 

তৈমূর আলম খন্দকারের সাথে অনেকগুলো 'টক শো' করেছি। খাঁটি দেশপ্রেমিক, কট্টর দলপ্রেমিক (বিএনপি) নিপাট একজন ভদ্রলোক। তিনি এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন। আইভীর উচিৎ ছিলো অতীত কৃতজ্ঞতায় এ নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে তৈমূর আলম খন্দকারের বিজয় নিশ্চিত করা। কিন্তু আইভী এখন আইভী নন, তিনি 'আওয়ামী লীগ'। তিনি এখন মরার সময়ে 'জয় বাংলা' বলে মরতে চান।

 

বিএনপি সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৈমূর আলম খন্দকারের বিষয়ে।তবে দলগতভাবে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এই হোক, যে কোনো মূল্যে 'নৌকা' ডুবাতে হবে শীতলক্ষ্যা নদীতে। সমস্ত শক্তি নিয়ে, নিজকে/নিজেদের উজাড় করে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে তৈমূর আলম খন্দকারকে বিজয়ী করার কাজে। সারা দেশে নৌকা ডুবছে। নারায়ণগঞ্জেও নৌকা নিশ্চিত ডুববে। ঈমানদার নারায়ণগঞ্জবাসীর নিকট আকুল আবেদন, 'এখনই সময়', নৌকা ডুবানোর।

 

লেখক: মহাসচিব, এলডিপি (একাংশ)