লজ্জার সব আবরণ হারিয়েছে সরকার: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৪:০১

সরকারের তৃতীয়বর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, লজ্জার সমস্ত আবরণ এই সরকার হারিয়ে ফেলেছে।

রবিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের নিচতলায় প্রয়াত জাতীয়তাবাদী অনলাইন এক্টিভিস্টদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এমন মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, লাজ-লজ্জা যদি একেবারেই হারিয়ে যায় তাকে কিছু বলার থাকে না। যাদের সামান্য হারায় তাদেরকে কিছু বললে তারা আরও লজ্জিত হয়। আর যাদের মোটেও লাজ-লজ্জা থাকে না তাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলে তাদের কিছু যায় আসে না। গত পরশুদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০২২ সাল হবে উন্নয়নের মাইলফলক। আমি বলতে চাই এই উন্নয়নের ধারায় দেশ ও জনগণ আরও কত প্রতারিত হবে? আর কত নিঃস্ব হবে।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আমরা এমন এক সমাজে বাস করি যখন ডানে বামে সবসময় তাকাতে হয় কেউ আমাকে অনুসরণ করছে কিনা। এক প্রচণ্ড ভয় এবং শঙ্কার মধ্যে আমাদের দিনরাত যখন অতিবাহিত হয় তখন এই তরুণরা ফ্যাসিবাদ, নাৎসীবাদ, পৃথিবীর সমস্ত আইনকে করায়ত্ব করে জনগণের ওপর যারা ভয়ঙ্কর অত্যাচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে এই অনলাইন এক্টিভিস্টরা যে অস্ত্র হানে এটা নিঃসন্দেহে গোটা জাতিকে প্রেরণা দেয় এবং আমরাও অনুপ্রাণিত হই।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, পত্রিকায় দেখলাম ৭/৮টা পিওনের পদের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। সেখানে কয়েক হাজার আবেদন করা হয়েছে। তার মধ্যে অসংখ্য এমএ পাস আছে। এটাই হলো শেখ হাসিনার উন্নয়ন। মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার কি আমরা চিবিয়ে খাবো? আপনি ২০২২ সাল বলেছেন উন্নয়নের মাইলফলক। আর গণতন্ত্রের কী হবে, কথা বলার স্বাধীনতার কী হবে? এই যে অনলাইন এক্টিভিস্ট যারা সত্য কথা বলতে গিয়ে, সত্য মন্তব্য করতে গিয়ে যাদেরকে নিরুদ্দেশ করেছন, যাদেরকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করেছেন, যাদেরকে গুম করেছেন, তাদের কী হবে, গণতন্ত্রের কী হবে? সেই কথা বলার স্বাধীনতার কী হবে?

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী বলেন, আপনি জানেন আজকে যে সন্তানটি জন্মলাভ করছে ৯৮ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে সে জন্মলাভ করছে। আর আপনি উন্নয়নের কথা বলেন। এটা যে ঋণের মাইলফলক হবে, বন্দুকযুদ্ধের মাইলফলক হবে, গুমের মাইলফলক হবে এটা অনলাইন এক্টিভিস্টদের কতজন গুমের শিকার হবে তা বলা মুশকিল। আগেই বলেছি যদি লজ্জা শরম না থাকে তাদের বলেও কোনো লাভ নেই।

সংগঠনের আহবায়ক ও কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আমিরুজ্জামান শিমুল,কৃষকদলের এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

ঢাকাটাইমস/০৯জানুয়ারি/বিইউ/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :