দে নিড বেঙ্গলি

আব্দুল্লাহ আল হাদী
 | প্রকাশিত : ১০ জানুয়ারি ২০২২, ২২:০৭

১০ জানুয়ারি সকাল ৮টার দিকে দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী ব্রিটিশ এয়ারফোর্সটি অবতরণ করার আগেই সকল অনিশ্চয়তাকে জয় করে রয়টার্সের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে ‘রাওয়ালপিন্ডি, পাকিস্তান, ২২ ডিসেম্বর,-পূর্ব পাকিস্তানি স্বাধীনতা আন্দোলনের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানকে আজ পশ্চিম পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং একটি অজ্ঞাত স্থানে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।’

ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের আগের রাতে, অর্থাৎ ১৫ ডিসেম্বর রাতে জেলের মধ্যে দাগি আসামিদের হাঙ্গামার ফাঁদ পেতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। সামরিক জান্তা প্রধান ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে সেই রাতের অন্ধকারেই, মিয়ানয়ালি কারাগারের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের গেট খুলে দেওয়া হয়। তখনকার জেলার তখন পরিস্থিতি বেগতিক অনুভব করে বঙ্গবন্ধুকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করেন।

জুলফিকার আলী ভুট্টো ২০ ডিসেম্বর ইয়াহিয়ার কাছ থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পর ২২ ডিসেম্বর মিয়ানয়ালি জেলের গভর্নর হাবিব আলীকে জরুরি বার্তা পাঠান, ‘শেখ মুজিবকে কারাগার থেকে দ্রুত নিরাপদ কোন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হোক।’ এরপর তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ফারল্যান্ডের বাসভবনে গিয়ে দেখা করে ভুট্টো তাকে জানান ‘শেখ মুজিবুর রহমানকে জেলখানা থেকে মুক্তি দিয়ে তাকে রেস্ট হাউজে বন্দি রাখা হয়েছে।’

হাবিব আলী ভুট্টোর নির্দেশে সেদিন বঙ্গবন্ধুকে মিয়ানয়ালি কারাগার থেকে ৩৬ কিলোমিটার দূরে তার চশমা ব্যারেজের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তাকে দুই দিন রাখেন। এরপর তাকে একটি আবাসিক কলোনিতে নির্জন এলাকায় নেওয়া হয়। সেখান থেকে ২৮ কিংবা ২৯ ডিসেম্বর হেলিকপ্টারে করে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে সিহালা পুলিশ রেস্ট হাউজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভুট্টো প্রথম বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করেন। ভুট্টো বঙ্গবন্ধুকে জানালেন, ইয়াহিয়া তাকে (ভুট্টো) বলেছেন -মুজিবকে প্রথম দিকে ফাঁসি না দেওয়া তার ভুল হয়েছে। সেজন্য তিনি ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় খুব করে বলেছেন কোন ব্যাকডেটে ফাঁসির রায় দেখিয়ে মুজিবকে ফাঁসির কোন ব্যবস্থা করা যায় কি না। কিন্তু ভুট্টো এতে রাজি হননি।

এরপর ভুট্টো বঙ্গবন্ধুকে আরও বললেন, যা হবার হয়ে গেছে কোনোভাবে একটি কনফেডারেশন করা যায় কি না? বঙ্গবন্ধু এর উত্তরে বললেন- আমি দেশে ফিরে এই প্রশ্নের উত্তর দেব। এরপরের ইতিহাস সকলেরই কম বেশি জানা।

বাংলার মাটিতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধুকে কয়েকবার এক জেল থেকে অন্য জেলে স্থানান্তর করা হয়। মিয়ানয়ালি, ফয়সালাবাদ, সাহিওয়াল ছাড়াও রাওয়ালপিন্ডি থেকে প্রায় ১৫০ মাইল দূরে উত্তর পাঞ্জাবের লায়ালপুর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠের একাকী কক্ষে চূড়ান্তভাবে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয় বঙ্গবন্ধুকে।

এর মধ্যেই গোপন বিচারের নামে চলতে থাকে ষড়যন্ত্র। ১২টি সাজানো অভিযোগ তৈরি করে তারা। যার মধ্যে ছয়টির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসে জেলবন্দি বঙ্গবন্ধুকে আসামি করে এক প্রহসনের বিচার শুরু হয় পাকিস্তানে। কারোর সাথে কথা বলতে দেওয়া হতো না। এমনকি একটি ট্রান্সমিটার বসানো থাকতো বঙ্গবন্ধুর চেয়ারে। যাতে তিনি যে কথাই বলুন না কেন, তা যেন পাকিস্তানি জান্তারা শুনতে পারে।

২০ ডিসেম্বর ইয়াহিয়ার কাছ থেকে পাকিস্তানের ক্ষমতাভার নেওয়ার পর প্রথম ৩ জানুয়ারি ১৯৭২ ভুট্টো রাওয়ালপিন্ডিতে একটা সমাবেশ করেন। সেখানে সমস্বরে জনতা প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি দাবি করেন এবং পূর্ব পাকিস্তান হারানোর জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেন। মূলত পাকিস্তানিরা তখন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে আটকা পড়া স্বজনদের নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে ছিলেন। তারা বুঝতে পেরেছিলেন এখন মুজিবের ফাঁসি হয়ে গেলে তাদের স্বজনরা বাংলাদেশ থেকে আর ফিরে আসতে পারবে না।

মূলত বঙ্গবন্ধুর মুক্তির ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ এবং তাদের ৯৩ হাজার প্রশিক্ষিত সেনাসদস্য বাংলাদেশে বন্দি অবস্থায় থাকায় তারা কোনোভাবেই বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসি দিতে সাহস করেনি।

৬ জানুয়ারি পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজিজ আহমেদ সিহালা পুলিশ রেস্ট হাউজ থেকে বঙ্গবন্ধুকে রাওয়ালপিন্ডি নিয়ে যান। সেখানে ভুট্টো তার সম্মানে একটি ডিনারের আয়োজন করেন এবং বঙ্গবন্ধুকে কনফেডারেশন বিষয়ক নানা কথাবার্তা বলে ভুট্টো বলেন –‘আজ আমরা আপনার যাওয়ার ব্যবস্থা না করে কাল সকালে করতে চাই। কারণ কাল ইরানের শাহ আসবেন। আপনার সঙ্গে দেখা করবেন।’

বঙ্গবন্ধু বুঝতে পারলেন ভুট্টো ইরানের শাহ্‌কে দিয়ে আরেক দফা সমঝোতার চেষ্টা চালাবেন। বঙ্গবন্ধু এতে বিরক্তি প্রকাশ করে বললেন –‘আমার এসব ভালো লাগছে না।’ অবস্থা বেগতিক দেখে ভুট্টো সেক্রেটারিকে বললেন ‘প্লেন আনার ব্যবস্থা করো।’ এরপর বঙ্গবন্ধু ডিনার করতে রাজি হলেন।

৭ জানুয়ারি দিবাগত রাত ২টায় চাকলালা বিমানবন্দর থেকে পিআইএর বোয়িং ৭০৭ এর বিশেষ ফ্লাইট ৬৩৫ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এবং সাথে বিমানবন্দর থেকে ড. কামাল হোসেন ও পিআইএর চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল জাফর চৌধুরীকে নিয়ে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে বিমানটি রওনা করে। বিমানটি করাচিতে ১ ঘণ্টা যাত্রা বিরতি করেছিল। রাওয়ালপিণ্ডি থেকে ছেড়ে যাওয়ার ১০ ঘণ্টা পর ৮ জানুয়ারি শনিবার লন্ডন সময় সকাল ৬.৩৬ মিনিটে বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী বিমানটি হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বঙ্গবন্ধুর বিমানটি অবতরণের ১ঘণ্টা আগে পাইলটের কাছ থেকে প্রথম একটি রেডিও বার্তা পাঠানো হয় ল্যান্ডিং স্টেশনে। সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রদপ্তরে খবরটি পৌঁছে যায়। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রদপ্তর লন্ডনে বাংলাদেশ মিশনের প্রধানের দায়িত্বে থাকা রেজাউল করিমকে বিমানবন্দরে থাকার জন্য বলেছিল। তার আগেই পাকিস্তানের হাইকমিশনার নাসিম আহমেদ সেখানে পৌঁছান। উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার আপা বি পন্থ। বঙ্গবন্ধু ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে যখন যাচ্ছিলেন সেখানে তখন পৌঁছান ব্রিটিশ পররাষ্ট্রদপ্তরের কর্মকর্তা ইয়ান সাদারল্যান্ড। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্রিটিশ রাজকীয় অতিথি রাষ্ট্র প্রধানদের থাকার জন্য সেন্ট্রাল লন্ডনের বিখ্যাত ক্লারিজ হোটেলে। এসময় হোটেল ক্লারিজের সামনে হাজার হাজার প্রবাসী বিভিন্ন দিক থেকে সেখানে ভিড় করতে থাকেন। বঙ্গবন্ধুর কাছে তখন বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানদের শুভেচ্ছা ফোন আসতে থাকে। এবং সেখানে তিনি একটি সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনেও যোগ দেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তার সাথে দেখা করে এক ঘণ্টার উপরে সেখানে আলোচনায় অংশ নেন।

লন্ডনে একদিন যাত্রাবিরতির পর ৯ জানুয়ারি সকাল ৮.৩০ মিনিটে ব্রিটিশ রয়েল এয়ারফোর্সের একটি সাদা কমেট জেটবিমান বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় কূটনীতিক শশাঙ্ক শেখর ব্যানার্জি ও ড. কামাল হোসেন ও তার পরিবার যাত্রা শুরু। শশাঙ্ক শেখর তার বইতে লিখেছেন -মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি নিয়ে বিমানটি আবার যাত্রা শুরু করে।

১০ জানুয়ারি সকাল ৮টার দিকে দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী বিমানটি অবতরণ করে। সেখানে তাকে গার্ড অফ অনার, লাল গালিচা সংবর্ধনার মাধ্যমে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার সরণ সিং-সহ মন্ত্রীপরিষদ সদস্য, লোকসভার সদস্য, ভারতীয় সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর প্রধানগণ, কূটনৈতিকরা এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।

সেখানে বঙ্গবন্ধু তাদের উদ্দেশ্যে ইংরেজিতে একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন, ভাষণে তিনি শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে ধন্যবাদ দিয়ে শেষ পর্যায়ে বলেন –‘এ নয় মাসে আমার দেশের মানুষ শতাব্দীর পথ পাড়ি দিয়েছে। আমাকে যখন আমার মানুষদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তখন তারা কেঁদেছিল। আমাকে যখন বন্দি করে রাখা হয়েছিল, তখন তারা যুদ্ধ করেছিল আর আজ যখন আমি তাদের কাছে ফিরে যাচ্ছি, তখন তারা বিজয়ী।’

বিমানবন্দরের রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু দিল্লির প্যারেড গ্রাউন্ডে বিশাল জনসমাবেশে যোগ দেন, হাজার হাজার জনতা ছুটে এসেছে সেই মুহূর্তের সাক্ষী হতে। সেখানে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে ইন্দিরা গান্ধী হিন্দিতে ভাষণ দেন। বঙ্গবন্ধুকে উদ্দেশ্য করে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বলেন, ‘তার শরীরকে জেলখানায় বন্দি করে রাখা হলেও তাঁর আত্মাকে কেউ বন্দি করে রাখতে পারেনি। তাঁর প্রেরণায় বাংলাদেশের মানুষ সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে। তিনি প্রেরণা দিতে এখন ভারতে আমাদের কাছে এসেছেন। এই যুদ্ধের সময় আমরা ভারতের পক্ষ থেকে তাদের জন্য তিনটি কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

এক. যে শরণার্থীরা ভারতে আছে তারা সময় হলে ফিরে যাবে।

দুই. আমরা মুক্তিবাহিনীকে সহায়তা করব ও বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াব।

তিন. শেখ সাহেবকে আমরা দ্রুত জেল থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করব। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রেখেছি।’ এরপর বঙ্গবন্ধু ভাষণ দেন সেখানে।

বঙ্গবন্ধু প্রথমে ইংরেজিতে সম্বোধন করে বক্তৃতা শুরু করেন। ‘প্রাইম মিনিস্টার শ্রীমতি গান্ধী, লেডিস এন্ড জেন্টেলম্যান প্রেজেন্ট...’

বলতে না বলতেই, উপস্থিত হাজার হাজার ভারতীয় সমস্বরে চিৎকার দিয়ে ওঠে 'জয় বাংলা', 'বাংলা', 'বাংলা'। জনতার 'জয় বাংলা' চিৎকার ও বাংলা.. বাংলা.. বলে চারিদিকে তীব্র স্লোগান শুরু হয়ে যায়। তখন বঙ্গবন্ধু সামান্য স্মিত মধুর হাসি দিয়ে -একটু থামেন এবং শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর দিকে তাকান। শ্রীমতি গান্ধীও একটু স্মিত হেসে বঙ্গবন্ধুর দিকে তাকান এবং জনতার দিকে নির্দেশ করে শ্রীমতি গান্ধী তখন বলেন ‘দে নিড বেঙ্গলি।’

এই বলে তিনিও তখন বঙ্গবন্ধুকে বাংলায় ভাষণ দেওয়ার আহ্বান জানান। এরপর বঙ্গবন্ধু শুরু করেন ‘আমার ভাই ও বোনেরা’ -বলতেই উল্লাসে ফেটে পড়ল যেন দিল্লির প্যারেড গ্রাউন্ড।

সেখানে বক্তৃতা শেষে তিনি যান ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে। আড়াই ঘণ্টার যাত্রাবিরতির পর সকাল ১০.৩০ মিনিটে তিনি দিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে রয়েল এয়ারফোর্সের একটি বিমানে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। দুপুর ১.৪১ মিনিটে বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী বিমানটি ঢাকার আকাশে চক্কর দেয়, নিচে শুধু মানুষ আর মানুষ। এদিকে আকাশবাণী থেকে সম্প্রচারিত হচ্ছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান ‘বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায় তুমি আজ, ঘরে ঘরে এতো খুশি তাই। কী ভালো তোমাকে বাসি আমরা, বল কী করে বোঝাই।’

বঙ্গবন্ধু সেদিন তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে যান রেসকোর্স ময়দানে। সেখানে তিনি ১৭ মিনিটের এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণে আবেগে বার বার কেঁদে ফেলছিলেন। এবং এ ভাষণেই তিনি স্বাধীন দেশের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রীয় কাঠামো ঘোষণা দিয়েছিলেন।

১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু লাখো জনতার সামনে আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন এবং রবীন্দ্রনাথকেও তিনি সেদিন ফিরিয়ে দিয়েছিলন এই বলে যে - কবিগুরু আপনি দেখে যান আমার বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে।

লেখক: কবি ও গবেষক

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :