‘বঙ্গবন্ধু-এডওয়ার্ড হিথ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড’ চালু করেছে লন্ডন হাইকমিশন

প্রকাশ | ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৪:৩২

লন্ডন প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যুক্তরাজ্য সফরের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষে ‘ব্রিটেনে বঙ্গবন্ধু: দ্য হিস্টোরিক ৮ জানুয়ারি’ শীর্ষক এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু যুক্তরাজ্য সফর করেন।

হাইকমিশনে বুধবারের অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ মন্ত্রী, বিভিন্ন দলের সিনিয়র সংসদ সদস্য, কূটনৈতিক, শিক্ষাবিদ এবং ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং এই ঐতিহাসিক সফরের কূটনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং গেস্ট অব অনার ছিলেন যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান ও মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মিনিস্টার অব স্টেট ও ইকোনমিক সেক্রটারি টু ট্রেজারি জন গ্লেন এমপি।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান অ্যানেলিজ ডডস, হাউস অফ লর্ডসে লিবারেল ডেমোক্র্যাট  গ্রুপের নেতা লর্ড নিউবি, অল- পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন বাংলাদেশ-এর ভাইস-চেয়ার বব ব্ল্যাকম্যান, এমপি, এবং হাউস অফ কমন্স ফরেন অ্যাফেয়ার্স সিলেক্ট কমিটির চেয়ার টম টুগেনহাট এমপি অনুষ্ঠানে কনজারভেটিভ, লেবার এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য দেন।

কমনওয়েলথের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান ওসেন অধিদপ্তরের পরিচালক বেন মেলর এবং যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার গাইত্রী ইসরার কুমার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট সদস্য সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্য সফর ২০২২ সালেও বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অপরিসীম ভূ-কৌশলগত এবং কূটনৈতিক তাৎপর্য বহন করছে।’

হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৮ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য সফরের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে মূল্যবোধভিত্তিক বন্ধুত্বকে সম্মান জানাতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘বঙ্গবন্ধু-এডওয়ার্ড হিথ ফ্রেডশিপ অ্যাওয়ার্ড’ চালু করেছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের বন্ধুত্ব আরও গভীর ও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে যারা অসাধারণ অবদান রাখবেন তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হবে।’

ঐতিহাসিক ৮ জানুয়ারি এবং এর তাৎপর্য তরুণদের মধ্যে আরও প্রচার ও জনপ্রিয় করতে একটি ‘৮ জানুয়ারি ফাউন্ডেশন’ গঠনেরও ঘোষণা দেন হাইকমিশনার।

অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনার মিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৮ জানুয়ারি সফরের ওপর লন্ডন মিশন কর্তৃক নির্মিত একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৩জানুয়ারি/কেএম)