খুনের আসামিকে নিয়ে গানের ভিডিও, ব্যাখ্যা দিলেন পলাশ

প্রকাশ | ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:২৪ | আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:২৭

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বগুড়ার একাধিক হত্যা মামলার আসামি হেলাল হোসেন। তার মধ্যে একটি মামলায় তিনি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। অথচ গত ২০ বছর ধরে কিনা সেলিম ফকির ওরফে বাউল সেলিম নাম নিয়ে দেশের ভেতরেই ছদ্মবেশে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এই সিরিয়াল কিলার। অবশেষে সেই খুনি ধরা পড়েছে র‌্যাবের জালে।

আরও একটি চমকপ্রদ খবর হলো, এই সিরিয়াল কিলারই ছয় বছর আগে গায়ক কিশোর পলাশের একটি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছিলেন। নাম ‘ভাঙা তরী ছেঁড়া পাল’। যেটি ইউটিউব চ্যানেল জি-সিরিজ মিউজিকে প্রকাশ পেয়েছিল। সেখানে কয়েক সেকেন্ডের জন্য দেখা গিয়েছিল বাউল বেশধারী এক ব্যক্তিকে।  

সেই মিউজিক ভিডিওর সূত্র ধরেই র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ে হেলাল ওরফে সেলিম। র‌্যাবের দাবি, বাউল বেশধারী ওই ব্যক্তি আসলে দুর্ধর্ষ এক খুনি। যিনি অন্তত তিনটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি।

এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ‘ভাঙা তরী ছেঁড়া পাল’ মিউজিক ভিডিওর গায়ক কিশোর পলাশ। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই গানের কোনো মডেল ছিল না। শুটিং লোকেশনে যাকে পেয়েছি তাকেই মডেল হওয়ার প্রস্তাব দিই, যদি সে আমাদের গল্পের সঙ্গে মেলে। সে কারণে আমাদের গানে একজন মুচি, রাস্তার মানুষ এবং ওই বাউলশিল্পী আছেন। আসলে ওই বাউল বেশধারী যে একজন সিরিয়াল কিলার তা আমরা বুঝতেই পারিনি।’

বাউলকে খুঁজে পাওয়ার ঘটনা জানিয়ে পলাশ বলেন, ‘আমরা নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশনের আশেপাশে শুটিং করছিলাম। হঠাৎ বাউল সেলিমকে দেখতে পাই রেললাইন দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। যেহেতু আমাদের গানটি ফোক ও আধ্যাত্নিক ধরনের, তাই মনে হল, লোকটাকে ভিডিওতে অল্প সময়ের জন্য ধরতে পারলে ভালো হবে। তাকে বললাম, সে এককথায় রাজি। শুটিংও করলাম।’

গায়ক আরও বলেন, ‘ছয় বছর আগে আমরা এই শুটিং করি। এখন জানতে পারলাম লোকটি সিরিয়াল কিলার। ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে যে আমার একটা জনপ্রিয় গানের মডেল একজন খুনি।’ পাশাপাশি পলাশ এও বলেন, কাজটি নাকি একদিক থেকে ভালোই হয়েছে। কারণ, তাদের গানের সূত্রে একজন সাজাপ্রাপ্ত খুনের আসামি ধরা পড়েছে।

ঢাকাটাইমস/১৩জানুয়ারি/এএইচ