অপপ্রচারকারীদের কয়েকজন চিহ্নিত, বাতিল হতে পারে পাসপোর্ট: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ২১:৩৮

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকাটাইমস

বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের পাসপোর্ট বাতিল হতে পারে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, চিহ্নিত কয়েকজন আছে যারা ক্রমাগতভাবে এই কাজগুলো করে যাচ্ছে, রাষ্ট্র তাদের পাসপোর্ট বাতিল করতে পারে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো, দেশে হানাহানির উদ্দেশ্যে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করা, বিদেশিদের কাছে অপপ্রচার চালানো, সেগুলো রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কার্যক্রম। কেউ যদি রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকে, রাষ্ট্র তার পাসপোর্ট বাতিল করতে পারে। গতকাল (বুধবার) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সেই সিদ্ধান্তই হয়েছে। চিহ্নিত কয়েকজন আছে যারা ক্রমাগতভাবে এই কাজগুলো করে যাচ্ছে, আরও কারা এর সঙ্গে যুক্ত, প্রয়োজনে সেই তালিকাও করা হবে।’

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ান্তানামো বে কারাগারে মানবাধিকারের চরম লংঘনের কথা উল্লেখ করে কারাগারটি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ান্তানামো বে একটি কুখ্যাত কারাগার, যেখানে গত বিশ বছর ধরে বন্দিদের বিনা বিচারে আটক রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং মানবাধিকারের প্রচন্ড লঙ্ঘন হচ্ছে। এই কারাগার যে নির্যাতন করার জন্য, সেটি সারা পৃথিবী জানে। 

বিভিন্ন জেলায় বিএনপির সমাবেশে নিজেদের মধ্যে মারামারি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি গত কিছুদিন ধরে বিএনপি সারা দেশে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তাকে বিদেশ পাঠানোর দাবিতে সমাবেশ করছে। সমাবেশ করতে গিয়ে বিভিন্ন জেলায় তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করছে। গতকাল (বুধবার) চট্টগ্রামে আরও একধাপ এগিয়ে মঞ্চটাই ভেঙে দিয়েছে। যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে নেতারা বক্তৃতা করছিলেন তাদের হুড়োহুড়ি-মারামারিতে মঞ্চ ভেঙে গেছে। যারা সঠিকভাবে নিজেদের সমাবেশ করতে পারে না, মারামারি করে এবং সমাবেশ করতে গিয়ে মঞ্চটা ভেঙে ফেলে তারা কীভাবে দেশ পরিচালনার কথা ভাবে সেটাই আমার প্রশ্ন।

ঢাকাটাইমস/১৩জানুয়ারি/ ইএস