সাকরাইন উৎসবে ছাদে ছাদে বিকট শব্দ, পুরান ঢাকায় কান পাতা দায়

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৩৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পুরান ঢাকার প্রায় সব বাসার ছাদে ছাদে উড়ছে নানান রঙবেরঙের ঘুড়ি। পাশেই সাউন্ডবক্সে বিকট শব্দে বাজছে বাংলা-হিন্দি গান। গানের তালেতালে নৃত্য করছে উঠতি বয়সী ছেলেরা। মাঝেমধ্যেই বিকট শব্দে ফোটানো হচ্ছে পটকা। রাতে ফানুস উড়ানোরও আয়োজন রয়েছে। বাংলা পৌষ মাসের শেষ দিনকে ঘিরে পুরান ঢাকার সাকরাইন উৎসবকে কেন্দ্র করে এতসব আয়োজন।

তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ফানুস উড়ানো, পটকা ফোটাতে নিরুৎসাহিত করা হলেও সে কথা কেউ কানে নেয়নি। ফলে বৃহস্পতিবার রাতে কিছুটা সহনীয় হলেও শুক্রবার সকাল থেকে পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের যেন ঘরের বাইরে কান পাতা দায় হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও বিকট  শব্দে শিশুদের অবিরাম কান্না করতে দেখা গেছে।  

পৌষের বিদায়ক্ষণ আজ। বারো মাসে তেরো পার্বণের দেশে পৌষ মাসের শেষ দিনটিকে ঘিরে পুরান ঢাকায় হিন্দু ধর্মালম্বীরা মূলত সাকরাইন উৎসব করে থাকে। তবে ধীরেধীরে পুরান ঢাকার অন্য ধর্মাবলম্বীরাও এই উৎসবে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছেন।

শুক্রবার সকালে সূর্যোদয়ের পর থেকেই বাসাবাড়ির ছাদে চলছে ঘুড়ি ওড়ানো শুরু হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আয়োজন আরো বাড়বে। ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য সুতা-মাঞ্জা দেওয়া থেকে শুরু করে পিঠা উৎসবেরও আয়োজন চলছে পুরান ঢাকার অনেক বাড়িতে।

বাংলা বাজার, পাতলাখান লেন, কাগজীটোলা, শাঁখারিবাজার, কলতাবাজার এলাকার অনেক বাসার ছাদে বিকট শব্দে সাউন্ড সিস্টেমের কারণে অনেকটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।

এদিকে ২০২২ সালের ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহর উদযাপনের ফলে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আগুনের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও অনবরত আতশবাজির বিকট শব্দে নগরবাসী পড়েন ভোগান্তিতে। আতশবাজিতে কেঁপে ওঠে গোটা মহানগরী আর ফানুসের আগুন ছিটকে পড়ে বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে।

এসব বিষয় মাথায় রেখে পৌষ-সংক্রান্তি বা সাকরাইন উৎসবের দিন বিকট শব্দের আতশবাজি ও ফানুস ওড়াতে বারণ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। কিন্তু তাদের সেই নির্দেশনা তোয়াক্কা করেনি কেউ।

বিভিন্ন নাম দেয়া ঘুড়ির মধ্যে চোখদার, পানদার, বলদার, দাবাদার, লেজওয়ালা, পতঙ্গ বেশ সাড়া ফেলেছে। নিজের ঘুড়িকে সবচেয়ে উপরে তোলার প্রতিযোগিতার সঙ্গে ঘুড়ি কাটাকাটির লড়াইয়ে বেশি আনন্দ পায় কিশোর-কিশোরীরা।

(ঢাকাটাইমস/১৪জানুয়ারি/বিইউ)