সাকরাইনে অগ্নি সতর্কতায় প্রচারণা চায় ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:৫৬ | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পৌষ-সংক্রান্তিতে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান সাকরাইন উৎসব। ১৪২৮ সনের পৌষ মাসের শেষ দিন আজ পুরান ঢাকায় জমকালোভাবে এ অনুষ্ঠান পালন হচ্ছে। এই আয়োজনের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো। তবে এই দুই জিনিসে রয়েছে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি। ফলে এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে টেলিভিশনে প্রচারণা চায় ফায়ার সার্ভিস।

আবার পুরান ঢাকাবাসীকে ফানুস ও আতশবাজির ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে, ঘুড়ি ওড়ানো উৎসব করতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে মঙ্গলবার সাকরাইন তথা ঘুড়ি উৎসবে ডিজে পার্টি, আতশবাজি, ফানুস ও মাদক নিষিদ্ধের কার্যকরী নীতিমালা চেয়ে ডিএমপি কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছেন পুরান ঢাকার ৮৩ জন ব্যবসায়ী ও বাড়িওয়ালা।

দুই সপ্তাহ আগে ইংরেজি বর্ষবরণের রাতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আতশবাজি ও ফানুসের আগুনে বাসাবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষয়-ক্ষতিও হয়েছে। একইসঙ্গে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় জরুরিসেবা ৯৯৯-এর হটলাইন নম্বরগুলো ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে সারাদেশ থেকে প্রায় ২০০টি অগ্নিকাণ্ডের খবর আসে ফায়ার সার্ভিস ও ৯৯৯-এর কন্ট্রোল রুমে।

ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারে, এসব অগ্নিকাণ্ডের বেশিরভাগই ঘটেছে ফানুসের কারণে। তবে কয়েকটি অগ্নিকাণ্ড আতশবাজির কারণে হয়েছে বলে জানা গেছে।

সাকরাইনকে কেন্দ্র করে ফায়ার সার্ভিস বলছে, শৈত্যপ্রবাহ কিংবা বাতাস নয়। ঢাকা শহরের মতো ঘনবসতি এলাকায় ফানুস ওড়ানোর কারণে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হতে পারে। থার্টিফার্স্ট নাইটে ওড়ানো ফানুসগুলো যদি রাজধানীর কোনো বস্তি এলাকায় পড়তো, তাহলে দেশ আরও ভয়াবহ অগ্নিদুর্ঘটনার সাক্ষী হতো। তাই নববর্ষ উদযাপনে ফানুস ওড়ানো বন্ধ চায় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক ও ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিনমনি শর্মা ঢাকাটাইমসকে বলেন, 'আমাদের ওই এলাকায় যে স্টেশনগুলো আছে, সেখানকার আমাদের অফিসারদের জানিয়ে দিয়েছি জনসচেতনতা সৃষ্টির করতে।'

তিনি বলেন, 'সরকারের যে তথ্য মন্ত্রণালয় আছে, তার মধ্যে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারণা চালালে মানুষ আরও বেশি সচেতন হবে। আমাদের তো সেই সুযোগ তো নাই। তথ্য মন্ত্রণালয় এটা করলে ভালো হতো।'

ঢাকাটাইমস/১৪জানুয়ারি/কারই/ইএস