কেন খুন হলেন ঢাবির সাবেক অধ্যাপক?

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ২১:১৪ | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ২১:৪০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সাইদা গাফফার খালেক হতার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। নির্মাণাধীন বাড়ির কন্ট্রাক্টর ও রাজমিস্ত্রি আনারুল ইসলাম শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করেন বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জিজ্ঞাসাবাদে আনারুল স্বীকার করেছেন, অধ্যাপক সাইদার কাছে থাকা টাকা লুট করতেই তিনি এই হত্যার ঘটনা ঘটান।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুরের কাশিমপুরের পানিশাইল এলাকায় তার ভাড়া বাসার পাশ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিনই আনারুল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবককে গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি নির্মাণাধীন বাড়ির কন্ট্রাক্টর ও রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব-এ খোদা জানান, আনারুল তার সহযোগীদের নিয়ে অধ্যাপক সাইদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তার বাসা লুটপাট করেন। পরে বাসার অদূরে একটি জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে মরদেহ ফেলে দেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আনারুল পুলিশকে জানিয়েছেন, ১১ জানুয়ারি বিকালে ফ্ল্যাটের কাজ শেষে নির্মাণসামগ্রী ও মালপত্র কেনার টাকা নিয়ে প্রকল্প এলাকা থেকে ফিরছিলেন সাঈদা গাফফার। ওই সময় আনারুল প্রকল্প এলাকার ভেতরে নির্জন জায়গায় অধ্যাপক সাঈদার সঙ্গে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সাইদা চিৎকার করলে গলার ওড়না চেপে ধরে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করেন। পরে তার সঙ্গে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে রাতেই গাইবান্ধায় পালিয়ে যান।

অধ্যাপক সাইদার ছেলে সাইদ ইফতেখার বিন জহির জানান, শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘাতক তার মায়ের গায়ের স্বর্ণালংকার, মোবাইল নিয়ে নেয়। এরপর বাসার চাবি নিয়ে বাসায় ঢুকে ল্যাপটপ, ট্যাব ও টাকা-পয়সা লুট করে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে অধ্যাপক সাইদার ছেলে-মেয়েরা কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। পরে তার মেয়ে সাহিদা আফরিন বৃহস্পতিবার কাশিমপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির পর নির্মাণাধীন বাড়ির প্লটে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়। পরে ওই প্লটে কর্মরত রাজমিন্ত্রী আনারুলকে গাইবান্ধার সাদুল্যারচর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অধ্যাপক সাঈদা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরে যান ২০১৬ সালে। তার স্বামী কিবরিয়াউল খালেকও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি মারা যান। তাদের চার সন্তানের মধ্যে দুই মেয়ে থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়। এক মেয়ে ঢাকার উত্তরায় এবং ছেলে মতিঝিলে থাকেন। সাঈদা সেখানে একাই থাকতেন। তিনিই নির্মাণাধীন ফ্ল্যাটের দেখাশোনা করতেন।

(ঢাকাটাইমস/১৪জানুয়ারি/জেবি)