‘সিটি নির্বাচনে বহিরাগত লোকে ভরে গেছে’

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ০২:৪২

‘বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে, হোটেলে, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব, সার্কিট হাউজ ও ডাকবাংলোতে বহিরাগত লোকজনে ভরে গেছে। এই বহিরাগতরা এখানে একটি বিশৃঙ্খলা ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেবেন। ভোটের দিনে তাদের কোন কাজ নেই। তারা যাতে নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করতে না পারে এবং যারা রাস্তাঘাটে চলাচল করবে, তারা যেন আইডি কার্ড নিয়ে চলাফেরা করে। আইডি কার্ডের বাইরে কোন বহিরাগত লোক যেন নারায়ণগঞ্জ শহরে চলাচল করতে না পারে।’ শুক্রবার রাত ১০টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার নিজ বাড়িতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, নিজেকে নিয়ে লজ্জাবোধ করছি। বারবার সংবাদমাধ্যমের স্মরণাপন্ন হতে হচ্ছে। কি প্রশাসন, কিবা নির্বাচন কমিশন, কোথা থেকেও নূন্যতম আশ্রয় ও ন্যায় বিচার পাচ্ছি না।

তৈমূর বলেন, আমি মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সংবাদ পাচ্ছি। যে সব নেতাকর্মী আজ এখানে উপস্থিত হয়েছেন, তারাও বিভিন্ন সংবাদ নিয়ে এসেছেন। সেই কথাগুলোই যাচাই-বাছাই করে সংবাদ মাধ্যমে বলব।

উৎসবমুখর পরিবেশে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছিল মন্তব্য করে তৈমূর আলম বলেন, প্রথম থেকেই আশা করছিলাম- আমাদের নির্বাচনটা কোন প্রকার হস্তক্ষেপ ছাড়াই হবে। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম যখন নারায়ণগঞ্জে আসেন, সেদিন তার সামনে বক্তব্যে বলেছিলাম- ‘নারায়ণগঞ্জের রাস্তায় হেঁটে যখন ভোট চাই, তখন মানুষ দুইটা কথা জিজ্ঞাসা করে। প্রথমত নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা, আমরা ভোট দিতে পারব কিনা। দ্বিতীয়ত প্রশ্ন ছিল আমি বসে যাব কিনা।’ আমার বসে যাওয়ার আর কোন সুযোগ নাই। কারণ এখন আর ড. কামাল হোসেন ও শফিক রেহমান নাই- যারা গিয়ে ম্যাডামকে (বেগম খালেদা) বুঝাবেন-অমুক প্রার্থী পাস না করলে দেশের ক্ষতি হবে, অমুককে পাস করাতে হবে। আমি বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী। আমার দায় দায়িত্ব আমি নিজে এবং আমার জনগণ।

একটি জবাব কমিশনের কাছ থেকে চাই জানিয়ে তৈমূর আলম বলেন, নির্বাচনে মানুষ ভোট দেবে কিনা সেটার নিশ্চয়তা তাকে দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন কিন্তু বলেছিল, আপনারা নিশ্চিত থাকেন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। কিন্তু এখন যে সব বিষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে, সেগুলোই সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরতে চাই এবং সংবাদ মাধ্যমের সহায়তায় দেশের প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

তৈমূর বলেন, নির্বাচনের প্রচার শেষ দিন হিসেবে শুক্রবার আমাদের শোডাউন ছিল নদীর ওপারে বন্দর এলাকায়। বন্দরের সেই শোডাউনে অনেক লোকজন সমবেত হয়েছিল, যেখানে কোন বহিরাগত লোকজন ছিল না। সকলেই নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মী এবং সিটির ভোটার। অপর দিকে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যিনিও শোডাউন করেছেন- পথাসভা করেছেন, সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের মেহমানরা। তারা অত্যন্ত সম্মানিত মেহমান।

আমাদের এই গণজোয়ারের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হতে হচ্ছে জানিয়ে তৈমূর আলম বলেন, বিভিন্ন স্কুল থেকে আমাকে জানানো হচ্ছে যে, প্রশাসন বা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা আছে- স্কুলগুলোর সিসি ক্যামেরা উঠিয়ে নেয়ার বা বন্ধ করে রাখার। এমন নির্দেশনা আসলে কি বুঝায়, এটার বিষয় বস্তুটা কি সেটা সকলকে বিবেচানায় নেয়ার আহ্বান করছি।

নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে তৈমূর আলম বলেন, প্রত্যেক কেন্দ্রের ভোট গননা শেষে তার প্রিন্ট কপি আমাদের এজেন্টদের কাছে বুঝিয়ে দিতে হবে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে এটা কোন জটিল কাজ নয়।

ভোটারদের উদ্দেশ্যে তৈমূর আলম বলেন, আপনারা সকলেই ভোট কেন্দ্র নির্বিঘ্নে আসবেন।

(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :