‘টিকা কার্ড দিয়ে ভাত বেচা যায় না’

প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:৩০

সৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকাটাইমস

করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার টিকাকার্ড দেখানোর শর্তে খাবার হোটেলে প্রবেশ ও স্বাস্থ্যবিধিধি মানার নির্দেশনা দিলেও তার কিছুই মানা হচ্ছে না। টিকাকার্ড দেখানোর ওপর কড়াকড়ি করলে হোটেল ব্যবসায় লস হবে বলে বলছেন মালিকরা। তারা বলছেন এমন নিয়মে খাবার বেচা যাবে না। আর ভোক্তারাও টিকা কার্ড দেখানোর নিয়ম নিয়ে বিরক্ত।

করোনা প্রতিরোধে সরকারে দেওয়া ১১ দফা নির্দেশনার তিন নাম্বার নির্দেশনা বলা হয়, ‘রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই করোনা টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে।’

সরকারের নির্দেশনা না মানার কারণ জানিয়েছেন রাজধানী মগবাজারারে এক হোটেল মালিক। নিজের নাম প্রকাশ না করে ওই হোটেল মালিক ঢাকাটাইমসকে বলেন, দেশের দশ ভাগ মানুষও (প্রকৃত পক্ষে এক ডোজ পেয়েছেন ৪৬ ও দুই ডোজ পেয়েছেন ৩১ শতাংশের বেশি মানুষ) টিকা পায় নাই, তাই বইলা কি সবাই না খাইয়া থাকবে, কনতো?

তিনি বলেন, সকাল থেইকা পুলিশের গাড়ি কয়েক দফা টহল দিয়া বইলা গেছে, যেন টিকা কার্ড ছাড়া কাউরে ভেতরে বসতে না দেই। তাদের কথা মতো একটা ছেলেরে দাঁড় করাইছি, পরে দেখি কোনো কাস্টমার আমার হোটেলে আসে না।

মগবাজার মোড়ে ‘ভর্তা ভাত’, ‘নান্না বিরিয়ানি’, ‘ঘরোয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’, ‘ক্যাফে ডি তাজসহ বেশ কিছু নামি হোটেল ও রেস্তোরাঁ রয়েছে। তাদের সবারই প্রায় একই অভিযোগ। যারা হোটেলে আসে তার কেউ টিকা কার্ড নিয়ে আসে না।

নান্না বিরিয়ানি হাউজ এর ব্যবস্থাপক মো. সবুজ ঢাকাটাইমসকে বলেন, টিকা কার্ড চাইলে কেউ হোটেলের ভেতরে ঢুকে না। সরকারে নির্দেশনা আমরা জানি, কিন্তু চেষ্টা করে দেখেছি, কোনো কাস্টমারই টিকা কার্ড নিয়ে আসে না।

হোটেলটির এই ব্যবস্থাপক আরও বলেন, আমরা সবাই যদি টিকা কার্ড চাই তাইলে আর দিনে একটা কাস্টমারও পামু না। মানুষ কি টিকা কার্ড নিয়া হাটেলে আসে বলেন?

রাজধানী মগবাজরের মতো একই অবস্থা কমলাপুর, যাত্রাবড়ী, সায়েদাবাদসহ রাচজধানীর বেশিরভাগ হোটেলে অবস্থা একই রকম। আবার হোটেলে কাস্টমারদের একটি একটি বড় অংশ হোটেল রেস্তোরায় দেওয়া বিধিনিষেধ এর বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করছেন।

এর আগে গত ১০ জানুয়ারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে মাস্ক না পরলে জরিমানাসহ গণপরিবহনে অর্ধেক আসনে যাত্রী পরিবহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খেতে হলে ভ্যাকসিন সনদ দেখাতে হবে।

গত ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই ১১ দফা নির্দেশনা মেনে চলতে হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বলা হয়েছিরো। তবে গণপরিবহনের ক্ষেত্রে আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নির্দেশনা মেনে চলতে হবে বলে জানায়।

(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/এসআর/ইএস)