প্রতি চালান মাদক পরিবহন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায়

প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:১৪ | আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পরিবহন চালানোর পাশাপাশি মাদক পরিবহন করতো চক্রটি। এই চক্রের সদস্যরা পেশায় প্রাইভেটকার চালক হলেও টাকার বিনিময়ে দীর্ঘদিন মাদক পরিবহন করে আসছিল। মাদকের চালান প্রতি তাদের ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হতো বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

এই অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে দুই মাদক চোরাকারবারিকে আটক করেছে র‌্যাব-১। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ৭২০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত দুটি প্রাইভেটকার এবং দুটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। আটক দুজন হলেন মো. আরিফুল ইসলাম ও মো. লিটন।

শনিবার বিকালে র‌্যাব-১ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার দিবাগত রাতে র‌্যাব-১ জানতে পারে যে, কিছু মাদক চোরাকারবারি নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রাইভেটকারে করে বিদেশি মদসহ ঢাকার উত্তরা এলাকার দিকে আসছে। তখন র‌্যাবের একটি দল রাত সাড়ে তিনটার দিকে খিলক্ষেত থানার ঢাকা ময়মনসিংহ রোডের পশ্চিম পাশে সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন ও কনভারশন ওয়ার্কশপের সামনে একটি অভিযান চালায়। অভিযানে মো. আরিফুল ইসলাম নামের এক মাদক চোরাকারবারিকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৪২০ বোতল বিদেশি মদ, একটি প্রাইভেটকার এবং একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

এদিকে শনিবার সকাল আটটার দিকে খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ-২ রোড নম্বর-২১/সি এর লা মেরিডিয়ান ঢাকা হোটেলের সামনে অভিযান চালিয়ে মাদক চোরাকারবারি মো. লিটনকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৩০০ বোতল বিদেশি মদ, একটি প্রাইভেটকার এবং একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

আটকদের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদক চোরাকারবারি চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা পেশায় প্রাইভেটকার চালক। দীর্ঘদিন ধরে এই মাদক ব্যবসা ও মাদক পরিবহনের সঙ্গে জড়িত। তারা রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় চোরাকারবারিদের কাছে মাদক সরবরাহ করতেন। মাদকের চালান প্রতি তারা ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে পেতেন। তাদের বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় মাদক আইনে আলাদা দুটি মামলা হয়েছে।

আটক আরিফুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে আর মো. লিটন একই জেলার মৃত ছামাদ বেপারীর ছেলে।

(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/এএ/জেবি)