সাংবা‌দিকের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিকে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:৩৪

সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ কোর্ট এলাকায় এক নারীসহ দুজনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্তদের পালাতে সহযো‌গিতার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। গত ১২ জানুয়ারি এই ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। এরইমধ্যে র‌্যাব ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চলছে অভিযান।

এদিকে র‌্যাবের দাবি, মামলার আসা‌মিদের পালা‌নোর সহ‌যো‌গিতা করেছেন স্থানীয় সাংবাদিক মো. গোলাম স‌রওয়ার। তিনি মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থল থেকে আসামিদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন।

জানা গেছে, আদালত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আনারুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম যৌথভাবে হোটেল ব্যবসা করতেন। হোটেলের মালামাল চুরির অভিযোগ এনে আনারুল ইসলামকে বটি দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখমের ঘটনা ঘটে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে ওই হোটেলের এক নারী কর্মীকেও জখম করা হয়। বর্তমানে তারা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতরা হলেন আনারুল ইসলাম ও মঞ্জিলা খাতুন। এই ঘটনায় মামলার দুই নম্বর আসামি নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। আর এক নম্বর আসামি ফজর আলী মেহেদীকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আনারুল বলেন, দীর্ঘ আট বছর ধরে তিনি নজরুলের সঙ্গে যৌথভাবে জজ কোর্ট চত্বরে হোটেল ব্যবসা করছিলেন। বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে তিনি হোটেলের রান্না ঘরে অবস্থান করছিলেন। এসময় নজরুল তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তোলেন। প্রতিবাদ করলে মারপিট ও কুপিয়ে জখম করা হয়। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে গেলে হোটেল কর্মী মঞ্জিলাকে কুপিয়ে জখম করা হয়।

এ ঘটনার পর স্থানীয় সাংবাদিকের মোটরসাইকেলে অভিযুক্ত নজরুল পালানোর চেষ্টা করেন। পরে র‌্যাব তাদের আটক করে। এসময় মামলার দুই নম্বর আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নজরুলকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

র‌্যাব-৬ এর অ‌ধিনায়ক লে. ক‌র্নেল মুহাম্মদ মোস্তাক আহমদ বলেন, কোর্ট এলাকায় নারীসহ দুজনকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহৃত রয়েছে। মামলার আসামি নজরুলকে মোটরসাইকে‌লে নিয়ে সরওয়ার নামে একজন সাংবাদিক পালাতে সহযোগিতা করছিলেন। পরে র‌্যাব সদস্যরা তাদের আটক করে। তাদেরকে ক্যাম্পে আনা হলে সরওয়ার নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন। পরবর্তী সময়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর আমরা জানতে পেরেছি হত্যাচেষ্টার ঘটনায় যে মামলা হয়েছে, তাতে এক নম্বর আসামি ফজর আলী ও দুই নম্বর আসামি নজরুল ইসলাম কথিত ওই সাংবাদিকের (সরওয়ার) নিকটাত্মীয়। তাছাড়া ঘটনার সঙ্গে তিনিও (সরওয়ার) পরোক্ষভাবে জড়িত। একারণে স্থানীয় সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে র‌্যাবের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় সাংবাদিকের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও নির্যাতন করা হয়েছে বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাদের এই অপপ্রচারের কারণে সত্য উদঘাটন ও বিচার বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতদের শারীরিক অবস্থা এখনো আশঙ্কামুক্ত নয়। মাথায় আঘাত পাওয়ায় তাদের সুস্থ হতে আরও সময় লাগবে।

(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/এসএস/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :