‘ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতিতে করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি রয়েছে’

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ২১:২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যেসব মানুষের ভিটামিন ডির ঘাটতি রয়েছে তাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তির জটিলতাও অধিক পরিলক্ষিত হয়।

রবিবার বিএসএমএমইউর এ ব্লক অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেন্ট্রাল সেমিনার সাব-কমিটির উদ্যোগে ভিটামিন ডির স্বল্পতা (ভিটামিন ডি ডিফিসিয়েন্সি: মিথ অর ফ্যাক্ট) নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোগ নিরাময় ও রোগ প্রতিরোধ বিশেষ করে রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে এমন গবেষণায় অধিক মনোযোগ দিতে বলেছেন। চিকিৎসকদের চিকিৎসেবার পাশাপাশি গবেষণার প্রতি আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে।

ভিটামিনের স্বল্পতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চিকিৎসাসেবার প্রয়োজনে সব বিষয়ের চিকিৎসকদেরই ভিটামিন ডির বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান এবং এ বিষয়ে সর্বশেষ গবেষণা ফলাফল সম্পর্কে অবহিত থাকতে হবে। ভিটামিন ডির স্বল্পতার কারণে মানুষ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

সেন্ট্রাল সেমিনার সাব-কমিটির চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে ‘রোল অন ভিটামিন ডি অন এস্কেলেটাল অ্যান্ড এক্সট্রাএস্কেলেটাল ডিজিজেস’ বিষয়ে অধ্যাপক ডা. মো. আবু শাহীন, ‘ম্যানেজমেন্ট অফ অস্টিওপোরোটিক ফ্যাকচার’ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইন্দ্রজিত কুমার কুন্ডু, ‘বায়োকেমিক্যাল এক্সপেক্ট্রাম অ্যান্ড ডিটারমিনেশন অফ ভিটামিন ডি’ বিষয় নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাসুম আলম।

সহকারী অধ্যাপক সম্প্রীতি ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে অধ্যাপক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, অধ্যাপক ডা. মিনহাজ রহিম চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. এম এ হাসানাত, অধ্যাপক ডা. মো. মতিউর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

অধ্যাপক মো. আবু শাহীন তার উপস্থাপিত প্রবন্ধে ভিটামিন ডির স্বল্পতা থাকলে যেসকল রোগ হতে পারে তা নিয়ে বিষদ আলোকপাত করেন। ভিটামিন ডির অভাবে শিশুদের রিকেট, বড়দের অস্টিওপোরোসিস, অস্টিওম্যালেসিয়ার মতো নীরবঘাতক রোগ হয় যাতে মানুষের হাড় ভেঙ্গে যায়, মানুষ পঙ্গু হয়ে যায়। ভিটামিন ডির স্বল্পতার সাথে ব্রেইন, হার্টের রোগের সম্পর্ক রয়েছে, এমনকি ক্যান্সার ও কিছু সংক্রামক রোগেরও সম্পর্ক রয়েছে। তবে আমরা যদি একটু সচেতন হই, বিশেষ করে খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন এনে দুধ জাতীয় খাবার যথাযথ পরিমাণে গ্রহণ করি তাহলেই এসব রোগ থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকতে পারব।

সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইন্দ্রজিত কুমার কুন্ডু তার প্রবন্ধে বলেন, বিশ্বের ৬০ বছর বয়সী প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন মানুষ অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত। হাড়ের দুর্বলতার কারণে এই বয়সে মানুষদের সামান্য আঘাত বা পড়ে গিয়ে মেরুদণ্ডের, হিপজয়েন্টে ও হাতের হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার প্রবণতা বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে এই অবস্থা প্রতিরোধের জন্য শরীরে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডির স্বল্পতা দূর করতে হবে। প্রতিদিন নিয়ম করে সূর্যের আলো গ্রহণ ছাড়াও নিয়মিতভাবে কিছু ওষুধ সেবন করা উচিত। এছাড়াও চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনযাপন ফিরে পাওয়া সম্ভব।

(ঢাকাটাইমস/১৬জানুয়ারি/এএ/জেবি)