নোয়াখালীতে বিজয়ী কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলা, আহত ৭

নোয়াখালী পৌরসভার নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়ী কাউন্সিলর ফখরুদ্দীন মাহমুদ ফখরুলের বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় বিজয়ী প্রার্থীর সাতজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি গাড়ি ও দোকানপাট।

রবিবার রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড সোনাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলার ঘটনায় নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ব্লাকবোর্ড প্রতীকের প্রার্থী রিয়াজুর রহমান মিঠুর সমর্থকদের দুষছেন বিজয়ী প্রার্থী। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।

হামলায় আহতরা হলেন- কাউন্সিলর ফখরুলের সমর্থক রিয়াজ উদ্দিন, সাব্বির হোসেন, হৃদয়, রাহিম, ইসমাইল হোসেন, মো. মিলন ও শান্ত। আহতদের মধ্যে চারজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জয়ী পাঞ্জাবী প্রতীকের প্রার্থী ফখরুদ্দীন মাহমুদ ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ১৬ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের পর তৃতীয়বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি। এলাকায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে কামাল উদ্দিন প্রকাশ সিএনজি কামাল নির্বাচনে তার বিপক্ষে রিয়াজুর রহমান মিঠুকে প্রার্থী করান। রাতে ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর তার প্রার্থী হেরে যাওয়ার জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে সিএনজি কামালের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী তার বাড়িতে হামলা চালায়।

হামলার সময় তারা বাড়ির গেইটে থাকা তিনটি দোকান, একটি পিকআপভ্যান ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা তার বসতঘর লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি করে। এসময় তাদের বাধা দিতে এলে সাতজন সমর্থককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

জানতে চাইলে পরাজিত প্রার্থী রিয়াজুর রহমান মিঠু বলেন, আমি অসুস্থ, নির্বাচনে ভোট গ্রহণের পর থেকে আমি নিজ বাসায় আছি। কারও বাড়িতে হামলা বা ভাঙচুরের বিষয়টি আমার জানা নেই।

অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে কামাল বলেন, ফলাফল ঘোষণার পরপর কাউন্সিলর ফখরুলের লোকজন প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াজুর রহমান মিঠুর কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এসব ঘটনা নিয়ে তাদের উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আমি বা আমার কোনো লোকজন জড়িত নয়।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় সোমবার দুপুর ২টার পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি।

(ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/কেএম)