সাউথ বাংলার আমজাদসহ আটজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:১৮ | আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:৩৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির ঘটনায় সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেন, ব্যাংকটির পরিচালক ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেনসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুদক উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ দুটি মামলা দায়ের করেন।

বিষয়টি ঢাকা টাইমসকে  নিশ্চিত করেন দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক মুহাম্মদর আরিফ ছাদেক।

দুদকে দায়ের করা প্রথম মামলায় সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেন ও ব্যাংকটির পরিচালক ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেনসহ আটজনকে আসামি করা হয়। অপর মামলায় ব্যাংকটির সাবেক এই চেয়ারম্যানসহ মোট ছয়জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

প্রথম মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের বিজয়নগর (তৎকালীন মতিঝিল) শাখার ব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক প্রতারণার মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে কোনো রূপ যাচাই বাছাই ছাড়াই রাফি মাহি করপোরেশন নামে কাগুজে প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋণ অনুমোদন করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে ঋণ অনুমোদনের আগেই এস এম আমজাদ হোসেন ১২ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে আত্মসাৎ করেন। পরে এই টাকা স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে পাচার করেন। এই মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ছাড়াও ব্যাংকটির পরিচালক ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেনসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

দুদকের করা অপর মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাউথ বাংলার ব্যাংকের মতিঝিল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে কোনো রূপ যাচাই বাছাই ছাড়াই ভুয়া এসওডি-ওয়ার্ক অর্ডারের বিপরীতে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেনের নির্দেশে প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন না নিয়ে ছয় কোটি আট লাখ টাকা উঠিয়ে আত্মসাৎ করেন।

দুটি মামলাতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/এসআর/জেবি)