বেক্সিমকো সুকুক বন্ডের তৃতীয় দিনে সাড়ে ৮ শতাংশ টাকা হাওয়া

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:০৫

পুঁজিবাজারে এসে প্রথম দিন অভিহিত মূল্যের উপরে দর থাকলেও দ্বিতীয় দিন অভিহিত মূল্যের নিচে নেমে যায় বহুল আলোচিত বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকের দর। আর তৃতীয় দিনের পতনে বন্ডটিরসাড়ে ৮ শতাংশ বিনিয়োগ উধাও হয়ে যায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়।

প্রথম কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বেশ ঝাঁকঝমকভাবে বেক্সিমকো সুকুকের লেনদেন শুরু হয়। বন্ডটির লেনদেন শুরু হয় ১১০ টাকায়। তারপরই নেমে যায় ১০২ টাকার নিচে। দিনশেষে ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের সুকুকের দর দাঁড়ায় ১০১ টাকায়। এদিন লেনদেন হয় ৩২ লাখ ৩২ হাজার ৭৭২টি বন্ড। যার বাজার মূল্য ছিল ৩৩ কোটি ১১ লাখ টাকা।

দ্বিতীয় দিন রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সুকুকটির সর্বোচ্চ দর উঠে ১০২ টাকা ৫০ পয়সায়। সর্বনিম্ন ৯৫ টাকায়। এদিন শেষ লেনদেন হয় ৯৮ টাকা ৫০ পয়সায়। প্রথমদিনের চেয়ে বন্ডটির দর কমে যায় আড়াই টাকা। এদিন লেনদেন হয় ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৪টি বন্ড। যার বাজার মূল্য ছিল ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

আজ তৃতীয় দিন সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সুকুকটির সর্বোচ্চ দর উঠে ৯৬ টাকায় এবং সর্বনিম্ন ৯১ টাকায়। দিনশেষে সর্বশেষ দর হয় ৯১ টাকা ৫০ পয়সায়। আজ ৬ লাখ ৬৫ হাজার ১৮৯টি বন্ড লেনদেন হয়। যার বাজার মূল্য ৬ কোটি ১৭ লাখ ৫১ হাজার টাকা।

তৃতীয় দিনের লেনদেনে বন্ডটিতে যারা বিনিয়োগ করেছেন, তাদের সাড়ে ৮ শতাংশ টাকা হাওয়া হয়ে গেছে।

দেশের অন্যতম প্রধান ব্যবসায়িক গ্রুপ বেক্সিমকো ইসলামি বন্ডটি বাজারে এনেছে। বন্ডটির নাম বেক্সিমকো গ্রিন আল ইস্তিসনা। এর অভিহিত মূল্য ১০০ টাকা। আইপিও এবং প্রাইভেট প্লেসমেন্ট প্রক্রিয়ায় মোট তিন হাজার কোটি টাকার অর্থ সংগ্রহ করেছে বেক্সিমকো গ্রুপ।

পাঁচ বছর মেয়াদি বন্ডটি শেয়ারে রূপান্তরযোগ্য বন্ডটি প্রতি বছর ২০ শতাংশ হারে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারে বাজার মূল্যের ২০ শতাংশ ছাড়ে রূপান্তর করা যাবে।

প্রতি বছর এ শরীয়াহ বন্ড থেকে কমপক্ষে ৯ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়ার নিশ্চয়তা আছে। এর সঙ্গে বেক্সিমকো লিমিটেড তার সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের যত শতাংশ লভ্যাংশ (ডিভিডেন্ড) দেবে- তার ১০ শতাংশের সমপরিমাণ হারে এই বন্ড হোল্ডারদের অতিরিক্ত মুনাফা দেওয়া হবে।

এই সুকুকে ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ প্রায় ২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। বেক্সিমকোর শেয়ারহোল্ডাররা প্রায় ২ কোটি টাকা এ বন্ডে বিনিয়োগ করেছিলেন। ব্যক্তির নামে বিনিয়োগ আছে প্রায় ৪২৩ কোটি টাকার। আইপিওর আন্ডাররাইটার (আইপিওতে অবিক্রিত অংশ কিনে নেওয়ার নিশ্চয়তা প্রদানকারী) প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ ১৩৫ কোটি টাকার।

(ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/এসকেএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :