অধ্যাপক তাজমেরীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি সাদা দলের

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:৩৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই দাবি জানায় সংগঠনটি।

এসময় অধ্যাপক তাজমেরীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় ঢাবি শিক্ষক সমিতির নীরব থাকার বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাদা দলের শিক্ষকরা।

সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, অধ্যাপক তাজমেরী একজন সত্যিকারের শিক্ষক ছিলেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় জাতি যখন দিশেহারা, বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষককে যখন ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাজমেরী ইসলাম। আজকে কোনো সমীকরণেই আসে না যে তিনি বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করতে পারেন। তিনি জামিনের আবেদন করেছেন কিন্তু তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না।

ঢাবি শিক্ষক সমিতির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তিনি আরও বলেন, আজকে শিক্ষক সমিতি এ ব্যাপারে নীরব। তারা মনে করছেন তাদের কাছে এখন আলো আছে। কিন্তু কখন যে এ আলো নিভে যাবে তা তারা জানে না।

এসময় অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান বলেন, এমন একজন মানুষের জন্য আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি যিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সারাজীবন অবদান রেখে গেছেন। আমরা তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এটি এক ধরনের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। কারণ তিনি লেখালেখি ছাড়া রাজনৈতিক কাজে তেমন একটা অংশ নিতেন না। কিন্তু এরপরও তাকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে।

তার গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, ড. তাজমেরী ইসলাম শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খ্যাতিমান ও সফল শিক্ষক ছিলেন। পাশাপাশি একজন রসায়নবিদ হিসেবেই কেবল দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও তিনি সমানভাবে সমাদৃত।

অধ্যাপক তাজমেরীর জামিনের ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির এগিয়ে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করে রোকেয়া হলের সাবেক প্রভোস্ট ও প্রাণ রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. লাইলা নুর ইসলাম বলেন, তিনি যদি সত্যিই নাশকতামূলক কোনো কাজে জড়িত থাকতেন তাহলে এতদিন যে তাকে বিভিন্ন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তখন কেন এগুলা বিবেচনা করা হয়নি। আমরা আশা করছি যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার জামিনের ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন এবং শিক্ষক সমিতিও কাজ করবে।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে পুলিশ অধ্যাপক তাজমেরীকে আটক করে। একই দিন বিকালে পুরনো একটি নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে তোলে পুলিশ। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কাশিমপুর কারাগারে পাঠান।

(ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/আরএল/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :