‘কৃত্রিম চাঁদ’ তৈরি করছে চীন!

তথ‌্যপ্রযু‌ক্তি ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৫৪ | প্রকাশিত : ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৩৪

চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের উপগ্রহ। চাঁদ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই মানুষের। এক এক প্রজন্মের নিকট এর পরিচয় এক এক রকম। কেউ কেউ বলে থাকেন চাঁদ ভিনগ্রহীদের তৈরি করা আস্তানা। নাকি পূর্বসূরিদের পরিত্যক্ত মহাকাশযান। ছোটবেলায় চাঁদকে সূতা কাটা বুড়ির ছোট্ট ঘর হিসেবে কল্পনা করে বাচ্চারা। কখনো কখনো একে উপমা হিসেবে ব্যবহার করেন বিভিন্ন বয়সের রোমান্টিক লোকজন।

মহাকাশ বিজ্ঞানীরা দিন-রাত এক করে নতুন নতুন গবষণায় ব্যস্ত। যেমন- চীনের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বছর চারেক আগেই ঘোষণা করেছিলেন, তারা কৃত্রিম চাঁদ তৈরির প্রকল্পে হাত দিয়েছেন। সেই চাঁদ মহাকাশে স্থাপন করা হবে। যা অমাবস্যাতেও আলোকিত করবে পৃথিবীকে। এবারও সেই চীনের বিজ্ঞানীরাই জানালেন, তারা পৃথিবীর বুকে হুবহু চাঁদের পরিবেশ তৈরি করতে চলেছেন। যা মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে প্রথমবার ঘটতে চলেছে।

বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, নকল চন্দ্রপৃষ্ঠ হবে হুবহু আসল চাঁদের মতোই। চাঁদের মাটিতে যতটুকু অভিকর্ষ থাকে, ততটুকুই থাকবে সেখানে। অর্থাৎ, সেখানে পৌঁছালে মানুষ ভাবতে বাধ্য হবে, যে সে মহাকাশ যাত্রা করে দূর আকাশের চাঁদেই পৌঁছে গিয়েছে।

নকল চাঁদ মোটেই সাধারণের বিনোদনের জন্য তৈরি কোনো ট্যুরিস্ট স্পট নয়। এভাবে পৃথিবীর মাটিতে চাঁদের পরিবেশ তৈরি করার ভাবনা শুধুমাত্র মহাকাশ বিজ্ঞানীদের গবেষণাকে গতি দেওয়ার জন্যে। জানা গিয়েছে, এরপর থেকে চিনের চন্দ্র অভিযান প্রকল্পের মহাকাশচারীদের এই নকল চাঁদের দেশেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যাতে করে তারা আদত চাঁদে পৌঁছে কোনোরকম অস্বস্তিতে না পড়েন।

কৃত্রিম চাঁদ প্রকল্পের অন্যতম গবেষক চায়না ইউনিভার্সিটি অব মাইনিং অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক লি রুলিন বলেন, অনেক ক্ষেত্রে বিমানে বা অন্য কয়েকটি পরিস্থিতিতে কিছুক্ষণের জন্য অভিকর্ষ কমে যায়। তবে এক্ষেত্রে আপনি যতক্ষণ চাইবেন, ততক্ষণ সেই পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হবে।

জানা গেছে, নকল ছোট চাঁদটি হবে দুই ফুট ব্যাসার্ধের। যার পৃষ্ঠে থাকবে চাঁদের মতোই পাথর, ধুলিকণা, গর্ত। মনে রাখা ভাল, চাঁদের অভিকর্ষ কিন্তু শূন্য নয়, বরং পৃথিবীর অভিকর্ষের ছয় ভাগের এক ভাগ। সেই ব্যবস্থাই থাকছে চীনের চাঁদের দেশে।

উল্লেখ্য, চীন চন্দ্র অভিযান নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা শুরু করেছে গত কয়েক বছর ধরেই। যে মিশনগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে ভবিষ্যৎ ‘পরিবর্তন’ ৬,৭ ও ৮। তার অন্যতম হলো নকল না, আসলে চাঁদের বুকেই একটি মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করে ফেলা। সেই কাজে সাফল্য পেতে হলে পৃথিবীর মাটিতেই চাঁদকে স্থাপন করার প্রয়োজন হয়ে পড়ছিল। এবার সেই কাজটাই সেরে ফেলল চীন।

(ঢাকাটাইমস/১৮জানুয়ারি/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা