বাজেট থাকলেও মানসম্মত গবেষণা নেই জগন্নাথে

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ২২:৫৯

মোস্তাকিম আহমেদ, ঢাকাটাইমস

প্রতি অর্থবছরে গবেষণাখাতে খরচের জন্য বাজেট দেওয়া হয়। কিন্তু মানসম্মত গবেষণা নেই দেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ফলে গবেষণায় দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে আছে জবি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি, রিসার্চ ল্যাব, অবকাঠামোগত সংকট, ফান্ডের সমস্যার কারণে ছাত্র-শিক্ষকরা অনেক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ আছে।

যদিও নতুন উপাচার্য গবেষণায় জোর দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বেশ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

গবেষকরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌলিক গবেষণার সংস্কৃতি চালু করতে পারলে গবেষণা মান উন্নত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় গবেষণাখাত উন্নয়নের সেনানিবাস। গবেষণার মান উন্নত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের উন্নতি হবে।

সম্প্রতি গবেষণা খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য সেন্ট্রাল সায়েন্স ল্যাবরেটরি তৈরি, গবেষণা খাতে সর্বোচ্চ বাজেট দেওয়া, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও গবেষণা শিল্প পরিষদ (বিসিএসআইআর) সাথে গবেষণা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা খাতে বরাদ্দ ছিল মাত্র এক কোটি ২৫ লাখ টাকা। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে গবেষণা খাতে বরাদ্দ ছিল এক কোটি ৭০ লাখ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে গবেষণা খাতে বরাদ্দ ছিল দুই লাখ টাকা। বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবছরে গবেষণা খাতে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, গবেষণার প্রস্তাবনাগুলো পাঠানো হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সেগুলো পর্যালোচনা করছে। আমরা আশাবাদী মানসম্মত গবেষণা হবে এবার।

নানা সীমাবদ্ধতার কথা তুলে তিনি বলেন, ‘গবেষণার ক্ষেত্রে অবকাঠামো সীমাবদ্ধতা আমাদের ছিল, আছে এবং থাকবে। সেগুলো বিবেচনা করেই আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব। আগের বছরের গবেষণাই এখনো শেষ হয়নি। নতুন বাজেটের টাকা এখনো শিক্ষকরা পাননি।’

বিষয়টি নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমরা বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গবেষণা বিষয়ক চুক্তি করার পরিকল্পনা আছে। সেন্ট্রাল সায়েন্স ল্যাবরেটরি করার জন্য কমিটি করা হয়েছে। গবেষণার পরিবেশ তৈরি করার জন্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যাতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ত্বরান্বিত হয়। গবেষণার মান বাড়লেই তা একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৮জানুয়ারি/বিইউ/জেবি)