এবার বিএনপি থেকে বহিষ্কার তৈমূর, সঙ্গে প্রধান এজেন্টও

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
তৈমূর আলম খন্দকার ও এটিএম কামাল (ফাইল ছবি)

দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে অব্যাহতির পর বিএনপির সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারকে। একই সঙ্গে নির্বাচনে তার প্রধান এজেন্ট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালকেও বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।

মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত আলাদা চিঠিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

বহিষ্কারের চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির গঠনতন্ত্র মোতাবেক দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে তৈমূর আলম খন্দকার ও এটিএম কামালকে বহিষ্কার করা হলো।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তৈমূর আলম খন্দকার ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমাকে যদি বহিষ্কার করে থাকে তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। দুইটা (আওয়ামী লীগ-বিএনপি) বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে মহামারি লাগছে। দুইটা রাজনৈতিক দলেই বহিষ্কার-অব্যাহতির হুমকি চলছে। এই দুইটা দলের যারা ত্যাগী নেতাকর্মী তাদের আল্লাহর কাছে পানাহ চাওয়া উচিত জালালি খতম পড়াইয়া।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এটিএম কামাল ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ পেয়েছি আমাকে নাকি বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে আমি এখনো কোনো চিঠি পাইনি।’

দলের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে এটিএম কামাল ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘দল আমার বিরুদ্ধে যে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে আমি তা মাথা পেতে নিলাম। হয়তো আমি কোনো ভুল করেছি। তাই দল আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। আমি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে কাজ করেছি। তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেই বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।'

গত রবিবার (১৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে নির্বাচন করেন। ভোটের আগেই কেন্দ্রীয় বিএনপি তাকে দলের চেয়ারপারসনের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয় ভোটের আগে।

সিটি নির্বাচনে তৈমূর আলম খন্দকার প্রায় সাড়ে ৬৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে। তৈমূর তার এই পরাজযের জন্য ইভিএমকে দায়ী করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/বিইউ/জেবি)