স্কুলছাত্রকে অপহরণের পর হত্যায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মীরেরবাগ বালুচর ওরিয়েন্টাল স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহাগকে অপহরণের পর হত্যা মামলায় যুবক ইয়াসিন মাহমুদ শাহীনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসমত জাহান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে মৃত্যুদণ্ডের সঙ্গে হত্যার পর লাশ গুমের জন্য আরও সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় শাহীন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে সোহাগের পরিবার। সোহাগের বাবা ইদ্রীস খান বলেন, ‘রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করবো, উচ্চ আদালতে এ রায় বহাল থাকবে। আসামির দ্রুত ফাঁসি কার্যকর হবে।’
জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সোহাগ স্কুল থেকে এসে তার মা সুফি বেগমের মোবাইল নিয়ে গেমস খেলতে খেলতে বাসার বাইরে যায়। এসময় কৌশলে শাহীন ভিকটিম সোহাগকে অপরহরণ করে নিয়ে যায়। পরে সোহাগের পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন সে। এক ঘণ্টার মধ্যে টাকা না দিলে সোহাগকে মেরে ফেলার হুমকি দেন শাহিন।
সোহাগের পরিবার বিষয়টি র্রাবকে জানায়। র্যাব বিষয়টি থানাকে জানাতে বলে। এরই মাঝে আরও ২/৩ বার টাকা চেয়ে ফোন দেন শাহিন। পরে থানা পুলিশ মোবাইল টেকনোলজির সহায়তায় শাহিনকে মীরেরবাগ বালুর মাঠ থেকে গ্রেপ্তার করে। তার স্বীকারোক্তিমতে বাসা থেকে বিকাল সাড়ে চারটার দিকে হাত, নাক, মুখ, স্কচটেপ দিয়ে বাঁধা সোহাগকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওইদিনই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন সোহাগের বাবা। মামলাটি তদন্ত করে শাহিন এবং তার বন্ধু সাজ্জাদ আহমেদ নিশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার সাব-ইন্সপেক্টর আশরাফুল আলম। এরপর সাজ্জাদকে অব্যাহতি দিয়ে শাহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/আরজেড/জেবি)