‘পায়রা সমুদ্রবন্দর নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করেছে’

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

দেশের তৃতীয় পায়রা সমুদ্রবন্দর আজ নতুন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, এই বন্দরকে ঘিরে ইতিমধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। ঘটছে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার।

বুধবার ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পায়রা বন্দরের জন্য দুটি টাগবোট নির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের সাথে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী এবং খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এম শামসুল আজিজ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুলতান আব্দুল হামিদ।

খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড ১৮ মাসে টাগবোট দুটি নির্মাণ করবে। ৭০ টন বোলার্ড পুল বিশিষ্ট দুটি টাগবোট নির্মাণে ব্যয় হবে ১৩৫ কোটি টাকা। টাগবোট দুটির দৈর্ঘ্য ৩৭.৭০ মিটার, প্রস্থ ১১ মিটার, ড্রাফট ৫.০০ মিটার এবং টনেজ ২৮০ টন। টাগবোট দুটির প্রতিটিই এককভাবে একটি বাণিজ্যিক জাহাজকে ভিড়াতে সক্ষম হবে।

পায়রা বন্দর কয়লাবাহী জাহাজ পরিবহনের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যবাহী জাহাজ পরিবহন করবে বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।

খালিদ মাহমুদ বলেন, পায়রা বন্দর ভবিষ্যতে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতার ফলে পায়রা বন্দর এ অঞ্চলের আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন করেছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, পায়রা বন্দরকে ঘিরে জাহাজ নির্মাণ শিল্প প্রতিষ্ঠান, শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্ট, দুটি বিশ্ববিদ্যালয়, নৌঘাটি নির্মিত হচ্ছে। কুয়াকাটায় পর্যটনের হাব রয়েছে। পায়রায় বিদ্যুতের নতুন হাব হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/টিএ/জেবি)