​মায়ের গর্ভে শিশুর নিরাপত্তা নেই কেন, প্রশ্ন নবজাতকের স্বজনদের

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:৫৭

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ফরিদপুরে আল মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালে এক নবজাতকের কপাল কেটে ফেলা ও আরামবাগ হাসপাতালে আরেক নবজাতকের হাতের হাড় ভেঙে ফেলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফরিদপুরের সাধারণ শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।

এ সময় ভুক্তভোগী নবজাতকের বাবা শফি খান, ফুপু হোসনে আরা বেগম, নবজাতকের দাদা রব খান, হাড় ভেঙে যাওয়া নবজাতকের বাবা আরিফুল আলম সজল, দাদি মুক্তি বেগমসহ ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহব্বু পিকুল, সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোস্তফা আমীর ফয়সল, আবরার হোসেন ইতু, তাহিয়াতুল জান্নাত, রুমন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

তারা এসব ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন এবং এসব প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

বক্তারা বলেন, আয়া দিয়ে সিজারিয়ান অপারেশন করানোর সাজা কী হতে পারে? সেবার নামে এখানে রমরমা চিকিৎসা বাণিজ্য হচ্ছে। তারা বলেন, এসব প্রাইভেট হাসপাতালে সরকারি চিকিৎসকরাই রোগী দেখেন যারা সরকারি হাসপাতালে রোগীকে সময় দিতে পারেন না। কিন্তু প্রাইভেট হাসপাতালে দিনের বেশিরভাগ সময় দেন। রোগীদের বিভিন্ন টেস্টের নামে অযাচিত বাণিজ্য করা হয়। তাদের দালালেরা সরকারি হাসপাতালের রোগী ভাগিয়ে নেন। এসব ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে তারা জোর দাবি জানান।

গত ১৫ জানুয়ারি ফরিদপুরের আল মদিনা হাসপাতালে এক প্রাইভেট হাসপাতালে ভূমিষ্ট হওয়ার সময় এক নবজাতকের কপাল কেটে ফেলা হয়। এরপর গত বুধবার আরামবাগ হাসপাতালে আরেক নবজাতকের হাতের হাড় ভেঙে যায় ভূমিষ্ট হওয়ার সময়। এসব ঘটনা জানার পর ওই হাসপাতাল দুটি সিলগালা করে বন্ধ করে দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে।

(ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/কেএম)