অনিয়মের কারণে ৭৫ প্রতিষ্ঠানকে বিএসইসির সতর্কতা
দেশের পুঁজিবাজার বড় হচ্ছে। বাড়ছে বিনিয়োগ, আসছে নতুন বিনিয়োগকারী। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম। তবে সব অনিয়ম ইচ্ছাকৃতও নয়। দ্রুত কাজ করতে গিয়েও অনেক সময় ভুল করে বসে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা।
পুঁজিবাজারে অপরাধসহ বিভিন্নধরণের কারসাজি বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এজন্য নিচ্ছে নানা ধরনের পদক্ষেপ।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ডিসেম্বর জুড়ে ৭৫টি ব্রোকারেজ হাউজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সংস্থাটি। বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসব ব্রোকারেজ হাউজকে সতর্ক করাসহ জরিমানা করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা জানায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ৭৫টি ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (টেক) হোল্ডারের বিরুদ্ধে আইন বহির্ভুত কাজে জরিত থাকার অপরাধে এসব শাস্তিমূলকত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শাস্তি পাওয়া ব্রোকারেজ হাউজগুলোর বিরুদ্ধে কনসোলিডেটেড কাস্টমারস অ্যাকাউন্টের অর্থ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব বিবরণী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিভিন্ন গড়মিল খুজে পেয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসির এক কর্মকর্তা বলেন, যে সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়ম পালন করতে উদাসীন। বিএসইসি, ডিএসই ও সিডিবিএল এর যে সকল নিয়ম কানুন না মেনে নিজেদের মতো করে চলতে চায়।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়তে বিএসইসি বদ্ধ পরিকর। “আইন অমান্য করার কারণে বিএসইসি এরই মধ্যে বেশ কিছু ব্রোকারেজ হাউজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, যা আমাদের নিয়মিত কাজ। ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। ”
তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আইন অমান্য করার কারনে শাস্তি স্বরুপ এক, দুই লাখ টাকা জরিমানা করে। যত বড় অপারাধ তার তুলনায় জরিমানা সামন্য। এর পরিমাণ আরও বাড়ানো প্রয়োজন।
(ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/এসকেএস)